ক্রীড়া ডেস্ক
ইউরোপের নতুন দ্বৈরথ রিয়াল মাদ্রিদ আর ম্যানচেস্টার সিটির লড়াইটাকে এভাবে বর্ণনা করলে বোধ হয় খুব বেশি অনুচিত হবে না। টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে এ দুই দলকে মুখোমুখি করিয়ে দিয়ে ‘ফুটবল ঈশ্বর’ও যেন চাইছেন নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি করতে!
নিখাদ রাজকীয় ঐতিহ্য বনাম পেট্রো ডলারের শক্তি—চাইলে রিয়াল-সিটির দ্বৈরথকে এভাবেও ভাবতে পারেন। পরিসংখ্যানটা সমানভাবে হেলে আছে দুপাশেই। আগের দুই আসরে দুই দলের দেখা হয়েছিল সেমিফাইনালে। দুই বছর আগে শেষ সময়ে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে সিটিজেনদের হতাশায় ডুবিয়েছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা তার কঠিন শোধ তোলে পরের মৌসুমেই। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে বিদায় উড়ে যাওয়াটা ছিল রিয়ালের জন্য বেশ বিব্রতকর।
সেই হারের পর দলে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে রিয়াল। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে এই মৌসুমে এসেই লস ব্লাঙ্কোসদের মূল ভরসা হয়ে উঠেছেন ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম। ২০ গোল করার পাশাপাশি তিনি করিয়েছেন আরও ১০ গোল। কখনো কোনো ইংলিশ ক্লাবে না খেললেও বেলিংহামের চারবার সিটির বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আছে দুটি গোলও। ফর্মে থাকা বেলিংহামের জবাব হতে পারেন মাদ্রিদে জন্ম স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি। আর্লিং হালান্ডের মতো দানবীয় স্ট্রাইকার থাকার পরও রদ্রিকেই তুরুপের তাস মানছেন সিটি কোচ গার্দিওলা। গত সপ্তাহে রদ্রিকে নিয়ে তাঁর উক্তিটি ছিল এমন, ‘রদ্রি সেরা। সে যে পজিশনে খেলে, খেলার পরিস্থিতি অনুধাবন করা, খেলাটাকে পড়তে পারার গুণ মিলিয়ে সে প্রস্তুত।’
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নজর রাখতে হবে দুই দলের দুই মায়েস্ত্রোর দিকেও। আনচেলত্তি আর গার্দিওলা—একে অন্যের কৌশল সম্পর্কে অসাধারণ ধারণাই রাখেন। আজ রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ২০০তম ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ানোর কীর্তি গড়বেন, যদিও আনচেলত্তি এই ম্যাচ নিয়ে খানিকটা সংশয়েও আছেন। গতবার ট্রেবল জেতা সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তাঁর কথা, ‘ম্যাচে আসল বিষয়টা হচ্ছে নিজের সেরাটা দেওয়া। এই ম্যাচে মানসিক জোরটা এক বড় বিষয়।’
ফুটবলপ্রেমীদের চোখ থাকবে এমিরেটসে আর্সেনাল-বায়ার্ন মিউনিখ ম্যাচের দিকেও। দুই দলের সবশেষ দেখায় ২০১৬-১৭ মৌসুমে দুই লেগ মিলিয়ে ১০-২ গোলে হারিয়ে শেষ আটে উঠেছিল বায়ার্ন। এই ম্যাচ দিয়ে নতুন রূপে উত্তর লন্ডনে ফিরছেন হ্যারি কেইন। এই মৌসুমে বায়ার্নে যাওয়ার আগে টটেনহামের হয়ে অনেকবার এমিরেটসে গেছেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। এবার কেইন লন্ডনে যাচ্ছেন বুন্দেসলিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে।