নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাণিজ্যিকভাবে ফুটবল কোচিং শুরু করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। মাসিক ৩ হাজার টাকায় কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সপ্তাহে তিন দিন করে অনুশীলনের সুযোগ পাবে শিশু-কিশোররা। আর বাফুফের এই উদ্যোগে চমক হয়ে এসেছেন জনপ্রিয় টিভি তারকা জাহিদ হাসান!
বিশ্বের আর কোনো ফুটবল ফেডারেশন বাণিজ্যিকভাবে ফুটবল কোচিং করায় কিনা সেটি জানা যায়নি। অন্যরা না করালেও বাফুফে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) না জানিয়েই কমলাপুর স্টেডিয়ামে ফুটবল শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ‘বাফুফে ফুটবল একাডেমি’ নামের এই কোচিং স্কুলের শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন জাহিদ হাসান।
বিনোদন জগতের বড় তারকা হলেও খেলাধুলা জগতে এর আগে খুব বেশি দেখা যায়নি জাহিদ হাসানকে। ফুটবলে আবাহনীর সমর্থক হলেও মোহামেডানের স্থায়ী সদস্য তিনি। তবে এই প্রথমবারের মতো জাহিদ হাসানকে এবার ফুটবলে দেখা গেল। হঠাৎ করেই কেন বাণিজ্যিক ফুটবল কোচিংয়ের শুভেচ্ছা দূত হলেন তিনি? জাহিদ হাসান নিজেই বললেন, ‘অভিনয়ে আসার আগেও তো আমরা সবাই ফুটবলে লাথি মেরেছি। ফুটবল সম্পর্কে এত কিছু শুনি, সব সময় মনে হতো একটা কিছুর সঙ্গে থাকি। ভালো কিছু হোক। আমার দ্বারা যদি কেউ উদ্বুদ্ধ হয়, ভালো দুই-একটা ছেলে বের হয়, সেই হিসেবে খুব সৎ চিন্তায়, সৎ উদ্দেশ্যে...আমার ছেলে যখন আবাহনী-শেখ জামালে খেলতে যেত, দেখতাম অনেক পরিবার এ নিয়ে কথা বলত। সেই হিসেবে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া।’
নিজের স্বভাব-সুলভ সহজাত রসিকতা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন মাতিয়ে রাখলেন জাহিদ হাসান। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ফুটবলের উদ্যোগে তাঁর স্ত্রী ও জনপ্রিয় মডেল মৌকে পাওয়া যাবে কিনা? জাহিদ জবাবটা দিয়েছেন স্বজাত ভঙ্গিতেই, ‘একবার আমেরিকা গিয়েছিলাম। তিনজন মহিলা আমাকে জিজ্ঞেস করল, কী ভাই ভাবি কই? আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম, তোমাদের স্বামী কই? (হাসি) ’
ছোটবেলায় ফুটবল খেলতে গিয়ে মারামারি করেছেন বলেও জানালেন জাহিদ হাসান, ‘আমি নিজে মফস্বলের ছেলে। মফস্বলের ছেলেরা একটা সময় ফুটবল খেলত। আমি নিজে খেলেছি। টাইগার বয়েজ ক্লাব ছিল। শিল্ড দিয়ে খেলেছি। ঈশ্বরদীতে খেলতে যেতাম। ছোটবেলায় সাইকেল-রিকশায় করে যেতাম। গরু মাংস খাওয়াত, ১০ টাকা করে দিত। আশপাশে খেপে খেলতে যেতাম। মারামারি হতো, চলে আসতাম। খেলেছি ভাই।’