ঘরের মাঠে বছরের শেষ ম্যাচ। উত্তাপটা একটু বেশিই ছিল। তবে সেই উত্তাপে খানিকটা ভাটা পড়ে যখন বাংলাদেশ এক গোল খেয়ে বসে। তবে শেষ দিকে পাপন সিংয়ের গোলে জয় দেখে বাংলাদেশ। তাতে কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও চিন্তামুক্ত। যদিও নিজের লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় কিছুটা হতাশ বাংলাদেশ কোচ।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে যেমনটা বলেছেন বাংলাদেশ কোচ কাবরেরা, ‘এই জয়টা আমাদের দরকার ছিল। প্রথম ম্যাচে হারার পর খানিকটা চাপও তৈরি হয়। দলের সবাই একটু দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। তাই জয়ে আমি চিন্তামুক্ত।’ তবে প্রথম ম্যাচের সঙ্গে আজকের ম্যাচের পারফরম্যান্সে খুব একটা তফাৎ দেখছেন না কাবরেরা, ‘আমরা প্রথম ম্যাচেও ভালো খেলেছি। আজও (শনিবার) তেমনটাই হয়েছে। তবে প্রথম ম্যাচে অনেক সুযোগ তৈরি করেও গোল পাইনি। আজ (শনিবার) গোল হলো। তবে আপনারা কেবল সমালোচনা করতেই পারেন। আমার তো মনে হয়, দুইটা ম্যাচে আমাদের পারফরম্যান্সে ততটা ব্যবধান হয়নি।’
সব মিলিয়ে বছরটা ভালো যায়নি বাংলাদেশ ফুটবল দলের। ৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাত্র ২টিতে জিতেছে। কাবরেরা বললেন আরেকটি নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হয়ে গেছে। আর সেটি হলো ভুটানের বিপক্ষে। গত সেপ্টেম্বরে ভুটানের মাটিতে দুই ম্যাচ খেলতে গিয়ে একটিতে হেরেছিল বাংলাদেশ। যে হার র্যাঙ্কিংয়েও বড় প্রভাব ফেলে। যদি ম্যাচ দুটি জেতা যেত তাহলে দারুণ কিছু হতো বলে মনে করছেন কাবরেরা, ‘বছরটা ভালো যায়নি আমাদের। হ্যাঁ, আরেকটা জয় দরকার ছিল। ভুটানে সেই সুযোগটা হাতছাড়া হয়েছে।’
আগামী বছরের মার্চে এশিয়ান কাপের বাছাই। তার আগে ডিসেম্বর হবে ড্র। কিন্তু বাংলাদেশ মালদ্বীপের বিপক্ষে এই দুই ম্যাচে জিতলে মার্চের সেই বাছাইয়ের ‘পট থ্রি’তে পড়ত। পট থ্রি’তে পড়লে বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ পেত। এখন আর সেই সুযোগ নেই। এই বিষয়টি নিয়েও হতাশ কোচ, ‘দুটি ম্যাচ জিততে পারলে এশিয়ান কাপের বাছাই আমাদের জন্য সহজ হতো। এখন আর র্যাঙ্কিংয়েও খুব একটা উন্নতি হবে না। আর এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের পট থ্রিতে থাকারও সুযোগ নেই।’
এদিকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর বাফুফের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে কাবরেরার। আর থাকতে চান কি-না, এমন প্রসঙ্গে এই কোচের উত্তর, ‘আমি খুবই খুশি। বাংলাদেশের সঙ্গে দারুণ কিছু সময় কাটালাম। আমার ক্যারিয়ারের ভালো সময়ের একটিও এটি। এখন নতুন সভাপতির সঙ্গে আমাকে বসতে হবে। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করার পর বলতে পারব।’