নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাফুফে নির্বাচন ২৬ অক্টোবর। তার আগে নির্বাচনী পরিবেশ ও ফুটবলের সার্বিক খোঁজখবর নিতে বাফুফে পরিদর্শন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে যা জানলেন এবং শুনলেন তাতে মোটেও সন্তুষ্ট নন তিনি। আজ সোমবার বিকেলে বাফুফের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে নির্বাচন এবং ফুটবলের নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
একপর্যায়ে তিনি নির্বাচনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে খানিকটা হতাশাই প্রকাশ করেছেন। আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বাফুফে নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত যাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। বিশেষ করে সাবেক খেলোয়াড় বা সংগঠক। দুঃখজনক আমি এখনো কারও কাছে ইতিবাচক উত্তর পাইনি। আসলে সব ফেডারেশনে গত কয়েক বছরে অনেক অনিয়ম হয়েছে। কেউ একটা ফেডারেশনে ৪০ বছর আছে। আবার কারও পরিবারের লোকজন সবাই ফেডারেশনের সদস্য। যদি ওই ফেডারেশনের উন্নতিটা চোখে পড়ার মতো হতো তাহলে না হয় আমরা বিবেচনা করতাম। কিন্তু উন্নতি তো নেই। আমি মাঝেমধ্যে ভাবি বাংলাদেশে কীভাবে স্পোর্টসটা বেঁচে আছে। এই বেঁচে থাকাটা মানুষের আগ্রহের জন্য সম্ভব হয়েছে। আর পূর্বের কাউন্সিলরদের সব স্থানে রেখে নির্বাচন করার বিপক্ষে আমি। অনেক কাউন্সিল পলাতক। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে, আপনারাই জানেন।’
শুধু তা–ই নয়। বছরের বছর জুনিয়র পর্যায়ের ফুটবল না করে নির্বাচনের সময় ভোট কেনাবেচা এবং সক্রিয় হওয়া জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে সংস্কারের বার্তা দেন আসিফ, ‘জেলা টুর্নামেন্টগুলো আমরা আবার চালু করব। তবে এই বিষয়টি যেহেতু ডিএফএ (জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) দেখে। তাদের সঙ্গে তো আমাদের সমন্বয়টা থাকে না। তারা কাজ করে বাফুফের সঙ্গে। এ ক্ষেত্রে পুরো ব্যর্থতার দায় আমি বাফুফেকেই দেব। তারা কেন এই খেলাগুলো নিয়মিত রাখতে পারেনি। তবে সামনের দিনে কীভাবে কী হবে। কীভাবে এটা চালু করা যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করব। আর জেলা অ্যাসেসিয়েশনগুলো ভোটব্যাংক কিংবা ভোট কেনাবেচায় জড়িত থাকে। এই অভিযোগগুলো আমি পাচ্ছি। তারা নির্বাচন আসলেই সক্রিয় হয়, বাকি সময়টায় কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করে না। অথচ তাদের কাজ হওয়া উচিত স্থানীয় ফুটবলারদের তুলে আনা। নিয়মিত টুর্নামেন্ট করা।’
গত দুই–তিন বছরে খেলার মাঠগুলো ঠিকমতো খেলার উপযোগিতা পায়নি। দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার চলছে। আর মাঠের অভাবে ঘরোয়া মৌসুম শুরুর কথা বলেও শুরু করা যায়নি। উপদেষ্টা অবশ্য মাঠের অভাব দেখছেন না, দুষছেন চরম অব্যবস্থাপনাকে, ‘আমি যতটুকু জানি, আমাদের মাঠ পর্যাপ্ত আছে। কিন্তু সেগুলো যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। দুই দিন আগে আমি চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম। কিছুটা সংস্কার করলে কিন্তু সেটাকে একটা দারুণ ফুটবল মাঠে রূপ দেওয়া যায়। সেখানে তো ক্রিকেটের জন্য জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম আছে, আমরা ভাবছি এম এ আজিজকে ফুটবলের জন্য প্রস্তুত করে দেব। পাশাপাশি আরও যেসব মাঠ আছে, সেগুলোকে খেলার উপযোগী করে তোলা হবে।’