ক্রীড়া ডেস্ক
ফিফা বিশ্বকাপের পর কোপা আমেরিকা—সমর্থকদের শুধু হতাশই করেছে ব্রাজিল। টানা গত চার ম্যাচ ছিল জয়শূন্য। ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও দুঃসময় পার করছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এর মধ্যে আজ ইকুয়েডরের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেল ব্রাজিল।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচের মধ্যে তিন হার, এক ড্র ও দুটি ম্যাচ জিতেছিল ব্রাজিল। নিজেদের মাঠ কৌতে পেরেইরায় রদ্রিগোর করা একমাত্র গোলে ইকুয়েডরকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে সেলেসাওরা।
বল দখল, গোলের সুযোগ তৈরি ও লক্ষ্যে শটের বিবেচনায় কিছুটা এগিয়ে ব্রাজিল। ৫৮ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১০টি শট নিয়েছে তারা, ৩টি শট ছিল লক্ষ্যে। প্রতিপক্ষের মাঠে ইকুয়েডরও দারুণ খেলেছে। ৪২ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের লক্ষ্যে শট নিয়েছিল ৯টি, ২টি শট ছিল গোলপোস্টে।
খেলার তৃতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। রদ্রিগোর ফ্রিকিকে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি লুইস এইহিক। ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায় বল। ৯ মিনিট পর ডি বক্সের বাইরে থেকে রদ্রিগোর শট ফেরান ইকুয়েডর গোলরক্ষক হেরমান গালিনদেস।
৩০তম মিনিটে আর রদ্রিগোকে ঠেকাতে পারেননি ইকুয়েডর গোলরক্ষক। মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতার কাছ থেকে বল পেয়ে চমৎকার ফিনিশিংয়ে লক্ষ্য ভেদ করেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধের শেষ সময়ে ইকুয়েডরের মোইসেস কেইসেদোর শট ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল মাগালিয়াইস গোললাইন থেকে ফিরিয়ে না দিতে পারলে খেলার চিত্র ভিন্ন হতে পারত।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে ব্রাজিলের তিন খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে বল পায়ে বেরিয়ে যান ইকুয়েডর ফরোয়ার্ড কেভিন রদ্রিগেস। অনেকটা এগিয়ে গিয়ে ডি বক্সের মাথায় পাস দেন কেইসেদোকে। চেলসি মিডফিল্ডারের প্রথম শট ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন বেকার। ফিরতি বল পেয়ে আবারও শট নিলে গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন গাব্রিয়েল মাগালিয়াইস।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে দারুণ জমে ওঠে ম্যাচ। তবে নিশ্চিত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি না কোনো দলই। লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সাত ম্যাচে তৃতীয় জয়ে ব্রাজিলের পয়েন্ট ১০। পয়েন্ট তালিকার ছয় থেকে ৪ নম্বরে উঠে এলেন দরিভালের শিষ্যরা। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে নেমে গেল ইকুয়েডর। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
দিনের অন্য দুটি ম্যাচ হয়েছে ড্র। উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ের ম্যাচ গোলশূন্য এবং পেরু ও কলম্বিয়ার ম্যাচ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে।