ক্রীড়া ডেস্ক
প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে আর্লিং হালান্ডের খেলা দেখে ম্যানচেস্টার সিটি তারকাকে ধুয়ে দিয়েছিলেন রয় কিন। হালান্ডকে ‘সাধারণ মানের এবং প্রায় দ্বিতীয় স্তরের লিগের খেলোয়াড়’ বলে সম্বোধন করেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক অধিনায়ক।
কিনের সেই সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে পরে অবশ্য শিষ্যের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কোচ পেপ গার্দিওলা। বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকারের শ্রদ্ধা পাওয়া উচিত বলে এমন প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন ম্যানসিটি কোচ। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটের ম্যাচে আবারও ব্যর্থ হয়েছেন হালান্ড। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে পুরো ৯০ মিনিটে খেলে মাত্র ১টি শট নিতে পেরেছিলেন। তাঁকে একদম খোলোসবন্দী করে রেখেছিল রিয়ালের ডিফেন্ডাররা।
বড় দলের বিপক্ষে হালান্ড অকেজো, সেটাই যেন চোখে পড়ছে ফুটবল বিশেষজ্ঞদের। ম্যাচের পরেই ‘অকেজো’ খেলোয়াড় বলে জানিয়েছিলেন সাবেক নেদারল্যান্ডস এবং রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার ফন ডার ভার্ট। কিন-ফন ডারের মতো এতটা তীক্ষ্ণ সমালোচনা না করলেও হালান্ড এখন বিশ্বমানের খেলোয়াড় হননি বলে জানিয়েছেন জিমি ক্যারেঘার।
হালান্ডকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফে’ এক কলাম লিখেছেন ক্যারাঘার। সেই কলামে লিভারপুলের কিংবদন্তি ডিফেন্ডার লিখেছেন, ‘হালান্ড একজন চূড়ান্ত আরামপ্রিয় ফুটবলার। সে নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যতম সেরা গোল শিকারি হতে পারে, কিন্তু এখনো বিশ্বমানের খেলোয়াড় হতে পারেনি। সত্যিকার অর্থে বিশ্বমানের হতে হলে তার প্রয়োজন একের অধিক গুণ।’
বিশ্বমানের খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের বেশ কজন ফুটবলারের উদাহরণ টেনেছেন ক্যারাঘার। কলামে লিখেছেন, ‘সবশেষ ২০ বছরের প্রিমিয়ার লিগের সেরা স্ট্রাইকারদের দিকে দৃষ্টি দেন—থিয়েরি অঁরি, লুইস সুয়ারেজ ও হ্যারি কেনরা গোল করুক বা না করুক, কিন্তু তাদের প্রভাব বড় ম্যাচে ছিল এবং আছে। তারা বিশ্বের যেকোনো দলের হয়ে খেলতে পারে এবং গোলের চেয়েও বেশি অবদান রাখত পারে।’