আল নাসরে খেলা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কাছে ছিল অন্যরকম এক চ্যালেঞ্জ। নতুন ক্লাবের খেলার ধরন তো রয়েছেই, রোনালদোর জন্য কঠিন পরীক্ষা ছিল সৌদি আরবের তপ্ত আবহাওয়া। সৌদির এই গরমে কাবু হয়েছিলেন পর্তুগিজ এই তারকা ফুটবলারও।
গত বছরের শেষের দিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে পিয়ার্স মরগানকে সাক্ষাৎকার দিয়ে বিপাকে পড়েন রোনালদো। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তারপর আল-নাসরের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকায় (প্রতিবছর ৭৭৩ কোটি টাকা) দুই বছরের চুক্তি হয় রোনালদোর। এশিয়ায় এই প্রথম খেলছেন তিনি। এর আগে স্পোর্টিং সিপি, জুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ—এই চারটি ইউরোপীয়ান ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তিনি। শীতপ্রধান আবহাওয়ায় যিনি আজীবন খেলে এসেছেন, তার কাছে মধ্যপ্রাচ্যের গরম আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা তো একটু কঠিনই। যেখানে সৌদিতে গড় তাপমাত্রা থাকে ৪০-এর আশপাশে। লাইভস্কোর ডট কমে পর্তুগিজ এই তারকা ফুটবলার বলেন, ‘সৌদিতে এসে সবচেয়ে বড় পার্থক্য যেটা আমি খুঁজে পেয়েছি, তা হলো তাপমাত্রা। এরপর যখন পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা হয়েছে, তখন অনুশীলন করেছি। এভাবে আমি তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। এখানের সমর্থকেরা সত্যিই অবিশ্বাস্য। তারা আমাকে ভালোমতো স্বাগত জানিয়েছে। প্রত্যেক দেশ ও তাদের লিগ ভিন্ন। ইউরোপে তিনটা ভিন্ন লিগের অভিজ্ঞতা হওয়ায় আমি বেশ খুশি।’
গোল করার পরই রোনালদোর ‘সিউ’ বলে উদ্যাপন করা চিরপরিচিত দৃশ্য। ফুটবলার ছাড়াও তার এই উদ্যাপনকে অনুকরণ করেন অন্যান্য ক্রীড়াবিদেরা। নিজের এই উদ্যাপন প্রসঙ্গে পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘সারা বিশ্বেই এটা বেশ ভালোই পরিচিতি পেয়েছে। অন্য খেলোয়াড়দের এমন উদ্যাপন করা এবং তাদের উদ্যাপনের ভিডিও যখন অনেকে আমাকে পাঠায়, খুব ভালো লাগে। এটা সত্যিই দারুণ। এটার অর্থ হলো ‘ইয়েস’। খুব সাধারণ হলেও এটা অনেক অর্থবহ।’
রোনালদোর পর এখন অনেক তারকা ফুটবলার নেওয়ার চেষ্টা করছে সৌদি আরবের ফুটবল। কদিন আগে করিম বেনজেমার সঙ্গে আল ইত্তিহাদের তিন বছরের চুক্তি হয়েছে। নেইমার, লুকা মদ্রিচরাও আছেন সৌদির রাডারে। এ ছাড়া লিওনেল মেসিকে নিতে মোটা অঙ্কের টাকার চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল আল হিলাল।