নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খেলোয়াড় জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর বিরুদ্ধে আপিল করেছিল।
বাফুফের আপিল কমিটি আবেদন পর্যালোচনা করে বিকেএসপি’র শাস্তি প্রত্যাহার করেছে। আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আপিল কমিটি বিকেএসপির নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও মওকুফ করেছে। বিকেএসপির দুই কোচকে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছিল ফেডারেশন। আপিল কমিটি শাস্তি পর্যালোচনা করে সিনিয়র কোচ শাহীনুল হকের শাস্তিও তুলে নিয়েছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
এ মৌসুমে তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় চকবাজার কিংস। সেই দলে বিকেএসপির তিন ফুটবলার খেলেছেন। কিন্তু চুক্তিবদ্ধ হওয়া তিন ফুটবলার নাম পরিবর্তন করে খেলেছেন অন্য নামে ব্যবহার করে। চকবাজারের সঙ্গে বিকেএসপির তিন ফুটবলারের নাম ছিল নাইমুর রহমান, হাসান মিয়া ও মো. জিফাত।
সেই তিন ফুটবলারই আবার বিকেএসপির হয়ে দ্বিতীয় বিভাগে খেলেছেন অন্য নামে। বিকেএসপির হয়ে তারা খেলেছেন-তাসিন সাহেব, ইহসান হাবিব রিদুওয়ান ও রিফাত কাজী নামে। তিন ফুটবলারই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিলে শাস্তি নেমে আসে বিকেএসপির ওপর। তবে ফুটবলাররা যে ক্লাবে খেলেছেন সেই চকবাজার কিংসকে আশ্চর্যজনকভাবে কোনো শাস্তি দেয়নি বাফুফে।