ক্রীড়া ডেস্ক
রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে আছেন জুড বেলিংহাম। স্প্যানিশ ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর যে ফর্মে আছেন এমনটা অবশ্য নয়। আগে থেকেই প্রতিভার ছাপ রেখে চলেছেন তিনি। বরং বলা যায়, রিয়ালের হয়ে এবারের মৌসুমে অনেক ম্যাচের ত্রাণকর্তা ছিলেন তিনি।
চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচে নবাগত ইউনিয়ন বার্লিনের বিপক্ষে ম্যাচের যোগ করা সময়ে বেলিংহামের গোলেই কষ্টার্জিত জয় পেয়েছিল রিয়াল। গতকাল নাপোলির বিপক্ষেও গোল করেছেন তিনি। টানা দুই ম্যাচে গোল করার মধ্য দিয়ে একটি মাইলফলক অর্জন করেছেন। লস ব্ল্যাঙ্কোসদের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল করা তৃতীয় ফুটবলার তিনি।
এই কীর্তিতে ক্রিস্টিয়ানো কারেম্বু ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পাশে বসার সুযোগ পেয়েছেন বেলিংহাম। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী ২০০৯ সালে এই রেকর্ড গড়েন। পর্তুগিজ তারকার আগে এই কীর্তি ছিল শুধুই ফরাসি মিডফিল্ডার কারেম্বুর। ১৯৯৮ সালে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে রিয়ালের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দুই ম্যাচে গোল করেছিলেন কারেম্বু।
বেলিংহামের কীর্তির দিনে নিজের কোচিং যোগ্যতারও যেন প্রমাণ দিয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি। ২০১৯ সালে নাপোলির সভাপতি অরেলিও ডি লরেন্তিস তাঁকে বরখাস্ত করেছিলেন। সিরি আঁতে দলের পজিশন ভালো না হওয়ায়। কাল সাবেক ক্লাবকে ৩–২ গোলে তাঁদের মাঠেই হারিয়ে প্রমাণ করালেন বরখাস্তের সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল লরেন্তিসের। গতকাল নাপোলির পরাজয় মাঠ থেকে দেখেছেন নাপোলির সভাপতিও।
ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে অবশ্য শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল নাপোলিই। ১৯ মিনিটে স্বাগতিকদের হেডে লিড এনে দেন লিও ওস্তিগার্ড। তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। অধিনায়ক ডি লরেঞ্জোর ভুল পাস থেকে ভিনিসিয়ুস রিয়ালকে সমতায় ফেরান। ভিনি গোল করার আগে ভুল পাসটি ধরে তাঁকে সহায়তা করেন বেলিংহাম। পরে ৩৪ মিনিটে একক নৈপুণ্যে গোল করে ২–১ লিড এনে দেন বেলিংহাম।
বিরতির পর অবশ্য পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরে নাপোলি। ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে সমতায় ফেরান পিওতর জিলিনস্কি। তবে ৭৮ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফেদেরিকো ভালভার্দের বুলেট গতির শট ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান নাপোলির গোলরক্ষক অ্যালেক্স মেরেট। আত্মঘাতী গোলে অবশ্য তাঁর দোষ ছিল না। বারে বাধা পেয়ে তাঁর পিঠে লেগে বল জড়িয়ে যায় জালে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত গোলকিপিং করা মেরেটের ভাগ্য তখন সহায় ছিল না।