নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০০৯ সালে প্রথম আসরে তুমুল সাড়া ফেলেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কোটি টাকার সুপার কাপ। এরপর আরও দুই আসরের পর অর্থাভাবে সুপার কাপকে আর এগিয়ে নিতে পারেনি বাফুফে। দীর্ঘ ৯ বছর পর হিমাগারে থাকা সুপার কাপকে মাঠে ফেরানোর বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে বাফুফে।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে নতুন পেশাদার লিগ কমিটির প্রথম বৈঠক ছিল আজ। জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদি দায়িত্ব ছাড়ার পর বাকি চার সভাপতিকে নিয়ে পেশাদার লিগকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা সালাউদ্দিনের। আজকের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সুপার কাপ শুরুর বিষয়টিও জানান বাফুফে সভাপতি।
কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা নতুন করে আরেকটি টুর্নামেন্ট পরিচয় করিয়ে দিতে চাচ্ছি। যেটা আমরা আগে করেছিলাম, সুপার কাপ। ১ কোটি টাকার সুপার কাপ। সেই টুর্নামেন্ট আবার করার একটা সিদ্ধান্তে আমরা এসেছি। মনে হয় হয়ে যাবে। এখনই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছি না। আমরা এক জায়গা থেকে নিশ্চয়তা পেয়েছি যে সব রকম সহযোগিতা দেওয়া হবে। সেটা পুরোপুরি নিশ্চিত হলেই আমরা সুপার কাপের বৃত্তান্ত দিয়ে দেব।’
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে হারিয়ে প্রথম আসরের শিরোপা জিতেছিল মোহামেডান। ২০০৯ সালের সেই ফাইনাল মাঠে বসে দেখেছিলেন প্রায় ৪০ হাজার দর্শক। অনিশ্চয়তার মাঝে ২০১১ সালে মোহামেডানকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছিল আবাহনী। ২০১৩ সালে তৃতীয় আসরে কমে যায় টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি। জমতে থাকে বিতর্ক। কমতে থাকে দর্শক। শেখ রাসেলকে হারিয়ে সেই আসরে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে নেয় মোহামেডান। তবে টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি ক্লাবগুলোকে দেওয়া হয়নি বলে সমালোচনার মুখে পড়ে বাফুফে। এরপর থেকে হিমাগারেই পড়ে ছিল বহুল আলোচনার সুপার কাপ।