ফিফা কর্মকর্তা থেকে ম্যাচ অফিশিয়াল, খেলোয়াড় থেকে কোচিং স্টাফ, বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান থেকে সাধারণ দর্শক—বিশ্বকাপে সবার নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখতে হয় আয়োজক দেশকে।
কাতার বিশ্বকাপও ব্যতিক্রম নয়। দেশটিতে হতে যাওয়া প্রথম ফুটবল মহাযজ্ঞে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে তৎপর সরকার। কাতারকে সেই নিরাপত্তা সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাকিস্তান।
নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ চলাকালীন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-লিওনেল মেসি-নেইমারদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে এরই মধ্যে পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ খসড়া চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব চুক্তির আওতায় কাতারে সেনা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দোহা ও ইসলামাবাদের মধ্যে খসড়া চুক্তিটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। কিছুক্ষণ আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ কাতার পৌঁছেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দেশ শিগগিরই চুক্তিপত্রে সই করবে।
সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ দোহায় বিশ্বকাপের একটি ভেন্যুও পরিদর্শন করবেন। সেখানেই বিশ্বকাপ ঘিরে কাতার সরকারের নানা পদক্ষেপের ব্যাপারে জানানো হবে।
পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ২০ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত (বিশ্বকাপ চলাকালীন) নিরাপত্তার বিষয়ে তাদের সহায়তা চেয়েছে কাতার সরকার। এ চুক্তির মাধ্যমে এক-অপরের প্রতি দায়বদ্ধতা, নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত সেনাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা-পারদর্শিতাকে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ও সেনাদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
কেন নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানের সেনাদের নির্বাচন করা হয়েছে এবং তারা কাতারে কী কাজ করবেন, সে ব্যাপারে কাতার সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনো কিছু জানানো হয়নি। বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটিও তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।