ক্রীড়া ডেস্ক
কাউকে না কাউকে একদিন পেশাদার ক্যারিয়ারকে বিদায় বলতেই হয়। পর্তুগালের পেপে গত রাতে ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ফুটবলে দীর্ঘদিনের সতীর্থ অবসর নেওয়ায় আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
৩৩ মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় অবসরের ঘোষণা দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পেপে। ৪১ বছর বয়সী পর্তুগিজ ডিফেন্ডার যখন ফুটবলকে বিদায় বলছিলেন, রোনালদো সেটা দেখেছেন কি না জানা নেই। তবে যাঁর (পেপে) সঙ্গে এত স্মরণীয় মুহূর্ত রয়েছে, সেই সতীর্থর বিদায়ে রোনালদোর আবেগপ্রবণ হওয়াই তো স্বাভাবিক। পেপেকে নিয়ে ২০১৬ ইউরো উদযাপনের ছবি রোনালদো পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে।আবেগঘন এক বার্তায় রোনালদো লিখেছেন, ‘বন্ধু, তুমি যে আমার কতটা কাছের মানুষ তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা অনেক কিছু মাঠে এক সঙ্গে জিতেছি। তবে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে বন্ধুত্ব ও শ্রদ্ধা, যা তোমার প্রতি আমার রয়েছে। তুমি আমার অন্যতম প্রিয় ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।’
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। করেছেন ৮ গোল এবং অ্যাসিস্ট করেছেন ৪ গোলে। বন্ধু রোনালদোর সঙ্গে পেপে জিতেছেন ২০১৬ ইউরো। ২০০২ সালে পর্তুগালের ম্যারিটিমো ক্লাবের হয়ে ক্লাব ফুটবলে পথচলা শুরু হয় পেপের। ২২ বছরের ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলেছেন ৭৩৭ ম্যাচ। ৪২ গোলের পাশাপাশি ৩৬ গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। শেষটা করেছেন স্বদেশি আরেক ক্লাব পোর্তোর হয়ে।
ক্লাব ক্যারিয়ারে স্বর্ণালি সময় পেপে কাটিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। ২০০৭ থেকে ২০১৭—১০ বছর স্প্যানিশ ক্লাবটিতে খেলে তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। লা লিগার শিরোপাও জিতেছেন তিনবার। দুইবার জিতেছেন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। ‘রয়্যাল মাদ্রিদে’ পেপের সঙ্গী ছিলেন রোনালদো। রিয়ালে রোনালদো খেলেন ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত।
পেপের থেকে ২ বছর ছোট হলেও রোনালদো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছেন তাঁর (পেপে) আগে। পর্তুগালের জার্সিতে পেপের অভিষেক ২০০৭ সালে। রোনালদোর আন্তর্জাতিক ফুটবলে পথচলা শুরু ২০০৩ সালে। ২১ বছরের ক্যারিয়ারে আন্তর্জাতিক ফুটবলের অনেক রেকর্ড ভেঙে চুড়মাড় করে দিয়েছেন রোনালদো।