ক্রীড়া ডেস্ক
বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে এমনিতেই বার্সেলোনার রেকর্ড সুবিধার নয়। তার ওপর গত তিন বছর বার্সার ঘাড়ে যেন ‘ভূত’ হয়ে চেপে বসেছে জার্মান পরাশক্তিরা।
২০২০ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে ৮-২ গোলে আঘাতের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার আগেই আরও দুবার ৩-০ গোলের হার। তিন ম্যাচেই বার্সা হজম করেছে ১৪ গোল!
বায়ার্নের ডেরা আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাকে তো ‘যমের বাড়ি’ বলেও ডাকা শুরু হয়েছিল। তবে সব ভীতি দূর করে এবার ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে’ চেয়েছিল বার্সা। রবার্ট লেভানডফস্কি যে এখন তাদের সম্পদ!
কিন্তু সেটা আর হলো কই? ‘মৃত্যুকূপ’ তকমা পাওয়া ‘সি’ গ্রুপের মহারণে গত রাতে আবারও বায়ার্নের কাছে হেরে বসেছে বার্সা। এবারের ব্যবধানটা অবশ্য খুব বেশি নয়, ২-০। দুঃসহ অতীতের ঘা তাই শিগগিরই শুকাচ্ছে না কাতালানদের।
অথচ একের পর এক আক্রমণে দারুণ সব সুযোগ সৃষ্টি করেছিল বার্সেলোনা। সব ঠিক থাকলে প্রথমার্ধেই গোটা চারেক গোলে এগিয়ে যেতে পারত জাভি হার্নান্দেজের দল। এক রাতের জন্য পুরোনো ঠিকানায় ফিরে হ্যাটট্রিকের গৌরবে নিজেকে গৌরবান্বিত করতে পারতেন লেভানডফস্কি। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোলে জিতে গেছে বাভারিয়ানরা।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জাভি বলেছেন, ‘বিষণ্ন মন নিয়েই যেতে হচ্ছে আমাকে। ম্যাচটা অনায়াসে জিততে পারতাম। এতটা সহজে ওদের ছাড় দিতে চাইনি। হারলেও দলকে নিয়ে গর্বিত।’
ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে জাভির উপলব্ধি, ‘দিন শেষে জয়ই সবকিছু। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোয় আমাদের আরও বেশি লড়াই করতে হতো। গোলের সুযোগ তৈরি করার পর কাজে লাগানো উচিত ছিল।’