চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে গত মৌসুম শেষ করেছিল চেলসি। গত মৌসুম যেখানে শেষ করেছিল নতুন মৌসুমটা যেন সেখান থেকে শুরু করেছে তারা। সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে বুধবার রাতে ভিয়ারিয়ালকে টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে টমাস টুখেলের দল।
আগের মৌসুমের অর্ধেকে দায়িত্ব নিয়ে চেলসিকে বদলে দিয়েছিলেন টুখেল। সেই টুখেলের বাজিতেই কাল ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত জিতেই মাঠ ছাড়ে চেলসি। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলের সমতার পর অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে পুরো ম্যাচে খেলা চেলসির গোলরক্ষক এদুয়ার্দ মেন্দিকে তুলে কেপা আরিসাবালাগাকে মাঠে নামান টুখেল।
টাইব্রেকারে চেলসির জয়ের নায়ক এই কেপাই। ভিয়ারিয়ালের দুটি শট ঠেকিয়ে ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবার চেলসিকে উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা জেতান ২৬ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত ৬-৫ গোলের ব্যবধানে জিতে মৌসুমটা দারুণভাবেই শুরু করে চেলসি।
বেলফাস্টের উইন্ডসর পার্কে কাল ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ দাপট দেখিয়েছে চেলসি। এগিয়েও যেতে পারত ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে। কর্নারে টিমো ভেরনারের শট ঠেকিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর এনগোলো কন্তের দূর থেকে নেওয়া শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
অবশেষে প্রথমার্ধের ২৭ মিনিটে গোলের দেখা পায় চেলসি। হাকিম জিয়েচের গোলে এগিয়ে যায় টুখেলের দল। বিরতির ঠিক আগে সেই গোল শোধের ভালো সুযোগ পেয়েছিল ভিয়ারিয়াল। কিন্তু আলবার্তো মরেনোর বুলেট গতির ভলি ক্রসবারে আটকে গেলে সেটা আর হয়ে ওঠেনি।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় ভিয়ারিয়াল। চেলসির রক্ষণের ভালোই পরীক্ষা নিতে থাকে। গোলের দেখাও পায় ৭৩ মিনিটে। জিয়ার দুর্দান্ত এক ব্যাকপাস থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে সমতা আনেন মরেনো। ১-১ সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত সময়। পরে অতিরিক্ত সময়েও আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে দুই দলই প্রথম পাঁচ শটে চারটি করে গোল করে। ছয় নম্বর শটেও সফল হয় দুই দল। চেলসির সাত নম্বর শটটি আন্টোনিও রুডিগার জালে পাঠানোর পর ভিয়ারিয়ালের রাউল আলবিওলের শট রুখে দেন কেপা। তাতেই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে চেলসি।