ক্রীড়া ডেস্ক
মেজাজ হারানোর ঘটনা কি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কাছে একেবারে নতুন? মোটেই তা নয়। গোল করতে না পারার হতাশা বা মাঠের কোনো সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে তৎক্ষণাৎ ক্ষোভ ঝারতে দেখা যায় তাঁকে। পর্তুগিজ তারকা ফরোয়ার্ডের কাছে তখন সেটা কোন টুর্নামেন্ট, তাতে যায় আসে না।
উয়েফা নেশনস লিগে প্রথম তিন ম্যাচের তিনটিতেই গোল পেয়েছিলেন রোনালদো। পর্তুগালও সব কটিতে পেয়েছিল জয়। গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে গত রাতে রোনালদোদের জয়ের ধারায় পড়েছে যতিচিহ্ন। স্কটল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে পর্তুগাল। জয়রথ থেমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশা ঘিরে ধরে রোনালদোকে। ম্যাচ শেষে মনে হয়েছে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড যেন রেফারির ওপর বিরক্ত। রোনালদো মাঠ ছাড়ার সময় দুই হাত উল্টো করে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দেওয়ার সময় ব্যঙ্গাত্মক উপায়ে হাততালি দিয়েছেন।
ম্যাচে অবশ্য স্কটল্যান্ডের ওপর দাপট দেখিয়ে খেলেছে পর্তুগাল। ৭০ শতাংশ বল দখলে প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর পর্তুগিজদের শট ছিল ৩টি। স্কটিশদের পায়ে বল ছিল ৩০ শতাংশ। পর্তুগালের লক্ষ্য বরাবর ২ শট করে স্কটল্যান্ড। ম্যাচ শেষে পর্তুগালের মিডফিল্ডার বার্নার্দো সিলভার কণ্ঠে ঝরেছে হতাশা, ‘আজ রাতে (গতকাল) পর্তুগালের জন্য অনেক কিছু অনুপস্থিত ছিল। মাঠে ইনটেনসিটির অভাব ছিল। সঠিক সময়ে আক্রমণ করতে পারিনি। খুবই হতাশ।’
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করলেও গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে পর্তুগাল। ৪ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ লিগের’ গ্রুপ ওয়ানে এক নম্বরে পর্তুগিজরা। দুই, তিন ও চারে থাকা ক্রোয়েশিয়া, পোল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট ৭, ৪ ও ১। সব দলই চারটি করে ম্যাচ খেলেছে।