ক্রীড়া ডেস্ক
একটি দল, যারা গত এক দশকের বেশি সময় ধরে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিপুল অর্থ ঢেলে খেলোয়াড় কেনা কিংবা বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচকে দিয়ে চেষ্টা করা, কোনো কিছুই বাদ রাখেনি তারা। এর পরও দেখা মেলেনি আরাধ্য শিরোপার।
আর অন্য দলকে ডাকাই হয় ‘ইউরোপের রাজা’ বলে। ইউরোপীয় ফুটবলের ভাগ্য বরাবরই সুপ্রসন্ন তাদের। চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ ১৩টি শিরোপা সেই দলের দখলে। শিরোপা জয়ে তাদের আশপাশেও নেই কোনো দল। এই দুই দল—ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদ আজ রাতে মুখোমুখি হচ্ছে আরেকটি আগুনে লড়াইয়ে।
শিরোপার পরিসংখ্যানে দুই দলের অবস্থান দুই মেরুতে হলেও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স কথা বলছে ম্যানসিটির পক্ষে। ২০১৯-২০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। রিয়ালের বিপক্ষে দুই লেগেই জিতেছিল সিটি।
তবে শুধু খেলোয়াড়দের জাদুকরি পারফরম্যান্সই নয়, রিয়ালের ছন্দে থাকার পেছনে কৃতিত্ব দিতে হবে আনচেলত্তির কৌশলের জাদুকেও। চেলসির বিপক্ষে দল যখন ধুঁকছিল, তখন কামাভিঙ্গা ও রদ্রিগোকে নামিয়ে ঠিকই ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন রিয়াল কোচ। মিডফিল্ডেও একাধিক বিকল্প রেখে দল সাজানোর সুযোগ এগিয়ে রাখছে আনচেলত্তিকে। আনচেলত্তির এই দল হারার আগে হারছে না। আগের দুই রাউন্ডেই খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তরি পার হয়েছে রিয়াল। ‘লস ব্লাংকোস’দের হার না মানা মানসিকতায় এখন আরেকটি ফাইনালের স্বপ্ন দেখাচ্ছে সমর্থকদের।
এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে সিটিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল আতলেতিকো মাদ্রিদ। দ্বিতীয় লেগে সিটিকে বেশ বিপাকে ফেলেছিল আতলেতিকো। পরে অবশ্য বাধা পেরিয়ে সেমির টিকিট পায় তারা। তবে সেদিনের পারফরম্যান্সের পর শিষ্যদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন গার্দিওলা। বলছিলেন, ‘যদি এই ম্যাচে (কোয়ার্টার ফাইনাল সেকেন্ড লেগ) যেভাবে খেলেছি তেমন খেলি, তবে আমাদের কোনো সুযোগ নেই।’
এখন গুরুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে গার্দিওলার শিষ্যরা যদি জেগে ওঠেন, তবে ইতিহাদে রোমাঞ্চকর একই দ্বৈরথের আশা করতেই পারেন ফুটবল রোমান্টিকেরা।