এত দিন চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ক্রিকেট-ফুটবল দুই খেলাই হতো। এখন সেটি ২৫ বছরের জন্য ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে ১২ শর্তে এই দীর্ঘ সময়ের জন্য স্টেডিয়ামটি বাফুফেকে লিজ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মাহবুব মোরশেদ সোহেলের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানা গেল।
এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা শর্তগুলোর একেবারে শেষাংশে অনুমতিপত্র বাতিলের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে লিখেছে এনএসসি। যেখানে বলা আছে, ‘উপরিউক্ত শর্তাবলির কোনো ব্যত্যয় ঘটলে এ অনুমতিপত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।’ অর্থাৎ ২৫ বছর এনএসসির দেওয়া শর্তগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ মেনে চলতে হবে বাফুফেকে। শর্ত ভাঙলে স্টেডিয়াম ব্যবহারের অনুমতি হারাবে তারা। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনএসসির পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মাহবুব মোরশেদ সোহেলকে ফোন দেওয়া হলে তিনি এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর ব্যাডমিন্টনের এক অনুষ্ঠানে এসে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফেকে দেওয়ার বিষয়টি প্রথম জানিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তখন তিনি বলেছিলেন, স্টেডিয়ামটি ১০ বছরের জন্য বাফুফেকে দেওয়া হয়েছে। ওই দিনই বাফুফে জানিয়েছিল, ১০ বছরের জন্য স্টেডিয়াম নিয়ে খুব একটা লাভ হবে না। কারণ, এটিকে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম হিসেবে গড়ে তুলতে অন্তত ২০ থেকে ২৫ বছর ফুটবলের জন্য দরকার।
শেষমেশ ১২ শর্তে ২৫ বছরের জন্য স্টেডিয়ামটি পেয়েছে বাফুফে। সেই শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো–স্টেডিয়ামের কোনো সংস্কার করতে হলে সেটি পরিষদকে জানিয়ে করতে হবে এবং সব ব্যয় বহন করতে হবে বাফুফেকেই। স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, টেলিফোনসহ সব ব্যয়ও ফেডারেশনের। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলায় ১৫ শতাংশ গেট মানি ক্রীড়া পরিষদের অনুকূলে দিতে হবে এবং স্টেডিয়ামে অবকাঠামোগত কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে ঠিক করার ব্যয় বাফুফেকে বহন করতে হবে।