সমানে সমানে লড়াই বলতে যা বোঝায়, তেমনটাই হয়েছে স্টুটগার্টে স্পেন-জার্মানি ম্যাচে। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে সামান্য ব্যাপারও অনেক সময় গতিপথ পাল্টে দিতে পারে। তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে গত রাতে স্টুটগার্টে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল স্পেন-জার্মানি ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ানোর পরও ১০৫ মিনিট শেষে দেখা গেছে ১-১ সমতা। তখন ডি বক্সের বাইরে থেকে সজোরে শট নেন জামাল মুসিয়ালা। মুসিয়ালার শট স্পেনের ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেলার হাতে লেগে যায়। শট এতটাই বুলেট গতিতে ছিল যে কুকুরেলা হাত নামানোর সুযোগই পাননি। হ্যান্ডবল হওয়ায় পেনাল্টির দাবি করেন জার্মান ফুটবলাররা। রেফারি অ্যান্থনি টেলর পেনাল্টির বাঁশি তো বাজানইনি, এমনকি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) দেখার পরও সিদ্ধান্ত একই থাকে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জার্মানির কোচ হুলিয়ান নাগলসমান প্রশ্ন তুলেছেন, এটা কেন হ্যান্ডবল দেওয়া হলো না? জার্মানির কোচ বলেন, ‘এটা (হ্যান্ডবল) নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। তবে বলের লক্ষ্য কোন দিকে ছিল, সেটা ভালোমতো দেখা উচিত ছিল। ফুটবলে তো এটা সম্ভব নয় যে কেউ একজন গ্যালারিতে শট নিলেন এবং হাতে গিয়ে পৌঁছাল। কখনোই এটা পেনাল্টি নয়। যখন বল লক্ষ্য বরাবর যায় এবং কারও হাতে লেগে যায়, তখন তো আপনি লক্ষ্য নিয়ে কথা বলতে পারেন না।’
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় স্পেন। ১১৯ মিনিটে স্পেনের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনো জয়সূচক হেডটি করেন। তিনি বদলি হিসেবে নেমেছিলেন ৮০ মিনিটে। ম্যাচ হারায় হ্যান্ডবলকে অবশ্য দায়ী করছেন না নাগলসমান। তবে প্রযুক্তি আরও উন্নত হওয়া উচিত বলে মনে করেন জার্মান কোচ, ‘বলটা কোন দিকে শট করা হয়েছে, সেটা দেখতে হবে। কফি নিয়ে আসার জন্য আমাদের ৫০টি রোবট আছে। সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো একটা বিষয় তো থাকা উচিত যে ক্রস এবং শটগুলো কোন দিকে যাবে। এটা তো সবচেয়ে সহজ ব্যাপার। শট কোন দিকে যাচ্ছে, সেটা আমাদের দেখা উচিত। তবে সেটাই একমাত্র কারণ না যে ম্যাচটা আমরা হেরে গেছি।’