ক্রীড়া ডেস্ক
প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) ম্যাচের আগে থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে আলোচনা এখন সাধারণ ব্যাপার। লিগ ওয়ান, চ্যাম্পিয়নস লিগ—যেকোনো টুর্নামেন্টের ম্যাচের আগেই তা (আলোচনা) হচ্ছে। আলোচনার মধ্যেই নিজের সেরাটা দিলেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।
চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আগেই এক পা দিয়ে রেখেছিল পিএসজি। পার্ক দে প্রিন্সেসে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজি ২-০ গোলে হারায় রিয়াল সোসিয়েদাদকে। তবে অ্যানোয়েটা স্টেডিয়ামে গতকাল শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে যেন সবার চোখ ছিল এমবাপ্পের ওপর। গত কয়েক ম্যাচে পিএসজির হয়ে পুরো ৯০ মিনিট খেলতে না পেরে এমবাপ্পে এই ম্যাচে খেলছেন কি না, এই প্রশ্ন যেন অনেকেরই ছিল। ম্যাচের আগে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের সংবাদ সম্মেলনে এমবাপ্পেকে নিয়ে কৌশলী উত্তরে তাদের (এমবাপ্পে ও এনরিকে) মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিয়ে ফিসফাস চলতে থাকে। সব ছাপিয়ে এমবাপ্পে পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন এবং জোড়া গোলে দলের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন।
দ্বিতীয় লেগে গতকাল ১৫ মিনিটেই পিএসজিকে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। উসমান দেম্বেলের থ্রু বল থেকে বল রিসিভ করে এমবাপ্পে লক্ষ্যভেদ করেন ডান পায়ের শটে। ৫৬ মিনিটে দলের ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপ্পে। ফরাসি তারকা ফরোয়ার্ডকে অ্যাসিস্ট করেন লি ক্যাং ইন। এরপর ৮৯ মিনিটে মিকেল মেরিনোর গোলে ব্যবধান কমায় রিয়াল সোসিয়েদাদ। শেষ পর্যন্ত পিএসজি ২-১ গোলের জয় পায় রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে। দুই লেগ মিলে ৪-১ গোলে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে পিএসজি। ম্যাচ শেষে কোচের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল এমবাপ্পেকে। এমবাপ্পে তখন বলেন, ‘তাঁর (কোচ) সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই, এমনকি যদি মানুষ কোনো সমস্যা মনে করে। আমার সমস্যা রয়েছে। তবে কোচ তার মধ্যে অন্যতম না।’
পিএসজি সবশেষ তিন মৌসুমের মধ্যে এবারই উঠেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। ম্যাচ শেষে এমবাপ্পের ভেতর স্বাভাবিকভাবেই দেখা গেছে উচ্ছ্বাস। ফরাসি ফরোয়ার্ড বলেন, ‘তারা যদি প্রথমে গোল করত, ভক্ত-সমর্থকদের সমর্থন পেয়ে আরও চাপে ফেলত আমাদের। তাদের আশা দ্রুত ফুরিয়ে দিতেই হতো আমাদের। স্পষ্ট পরিকল্পনা ছিল আমাদের। সেটা হলো তাড়াতাড়ি গোল করা। আমরা সেটাই করেছি। কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়ে আমরা বেশ উচ্ছ্বসিত।’