গত বছর অভিষেকের পর থেকেই স্পেন ও বার্সেলোনার হয়ে দারুণ ছন্দে রয়েছেন লামিনে ইয়ামাল। স্পেনের ২০২৪ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ে এই তরুণ ফরোয়ার্ডের ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। খেলার ধরন বিবেচনা করে, কেউ আবার লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করেন ইয়ামালের।
মেসির সঙ্গে তুলনা ভালো লাগে ইয়ামালেরও, তবে এ ব্যাপার বেশ আপত্তি আছে তাঁর। বলেছেন, আর্জেন্টিনার মহাতারকার পর্যায়ে যাওয়া তাঁর পক্ষে অসম্ভব। মেসির মতো বার্সেলোনার ফুটবল একাডেমি লা মাসিয়ার পরিচর্যায় বেড়ে উঠেছেন ইয়ামাল। বার্সার মূল দলের হয়ে ১৫ বছর বয়সে অভিষেক হয় তাঁর।
মেসির মতো রাইট উইং পজিশনে খেলেন ইয়ামাল। বাঁ-পায়ের তুলিতে মেসি আজ সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন। ইয়ামালও খেলেন বাঁ-পায়ে, সঙ্গে ড্রিবলিংয়ের দক্ষতা, মেসির সঙ্গেই মিল খুঁজে পাওয়া যায় অনেক কিছুর।
স্পেনের ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে একটি গোলের পাশাপাশি ৪টি গোলে সহায়তা করেন ইয়ামাল। নির্বাচিত হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়। এমন প্রতিভার পরেও ইয়ামালের দাবি, কখনোই আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী মেসির পর্যায়ে যাওয়া সম্ভব না তাঁর পক্ষে।
সম্প্রতি স্প্যানিশ টিভি স্টেশন ‘আন্তেনা ত্রি’কে ইয়ামাল বলেন, ‘তারা আমাকে ইতিহাসের সেরা ফুটবলারের সঙ্গে তুলনা করে, আমার ভালোই লাগে। তবে আমি লামিনে ইয়ামাল হতে চাই, কারণ মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব।’
ইউরো চলাকালীন মেসির কোলে শিশু ইয়ামালের কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ২০০৭ সালে ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাতালান পত্রিকা দিয়ারো স্পোর্তের একটি চ্যারিটি ক্যালেন্ডারের জন্য তোলা অনেক ছবির মধ্যে ছিল সেগুলো। তখন ইয়ামালের বয়স ছিল ৬ মাস।
ইয়ামাল একটু রসিকতা করে বললেন, মেসির স্পর্শে কিছু ‘ক্ষমতা’ এসেছে আমার কাছে, ‘তিনি (মেসি) তার কিছু ক্ষমতা আমাকে দিয়েছেন। আমার এখনো অনেক কিছু দেওয়ার আছে।’
ক্লাব ও জাতীয় দলের মুগ্ধতা ছড়ানোর পর দলবদলে ইয়ামালের মূল্যও বড়ে যায় অনেক। তাঁর ট্রান্সফার ফি ধরেছে ১২ কোটি ইউরো। ইয়ামাল আপাতত ক্লাব ছাড়তে ইচ্ছুক নন। হতে চান বার্সেলোনার কিংবদন্তি, ‘আমি এই ১২ কোটি ইউরো চাই না, কারণ এর জন্য আমাকে বার্সা ছাড়তে হবে। আশা করি, আমাকে কখনই এই ক্লাব থেকে চলে যেতে হবে না। আমি ক্লাবটির কিংবদন্তি হতে চাই।’