নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অনিয়মের দায়ে ফিফার দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে দেশের অন্যতম ব্যয়বহুল আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসিসহ দুজনকে নিয়োগ দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। সঙ্গে আছেন দুজন আইনজীবীও। এই চারজনের দায়িত্ব আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত থেকে সোহাগকে নির্দোষ প্রমাণ করিয়ে আনা।
গত ১৪ এপ্রিল দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হোন সোহাগ। নিয়ম অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপিল করতে হলে ২১ দিনের মধ্যে আপিল করতে হতো সোহাগের আইনজীবীদের। দেশীয় আইনজীবীরা বলছেন, ৫ মে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করা হয়েছে যেখানে আপিলের ফল আসতে পারে এক বছর পর।
দীর্ঘ আর ব্যয়বহুল এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এত ব্যয়বহুল এক আইনি লড়াই কীভাবে চালিয়ে যাবেন সোহাগ, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আজকে তার ডাকা সংবাদ সম্মেলনে। ঘাড়ে ঝুলে আছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ, এর মধ্যে আইনি লড়াইয়ের ব্যয়ের উৎস কী সেটা নিয়েও জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকেরা।
তবে প্রশ্নের উত্তর নিজে না দিয়ে আইনজীবী আজমালুল হোসেনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন সোহাগ। আজমালুল হোসেন বললেন, ‘আইনজীবীদের লাতিন ভাষায় একটা টার্ম রয়েছে "প্রবোনো পাবলিকো"। যেটা অনেকটা বিনা মূল্যের মতো জনস্বার্থে করা হয়ে থাকে। দেশের সম্মানার্থে আমি এটা করছি।’ জনস্বার্থের কথা বলা হলেও তিনি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে আজমালুল হোসেনের উত্তর ছিল, ‘খুবই অল্প পরিমাণে। ডিসকাউন্টেড!’
আজমালুল ছাড়ের কথা বললেও ঘণ্টা অনুযায়ী ঠিকই পারিশ্রমিক দিতে হয় সুইস আইনজীবীদের। সেই অর্থের পরিমাণ কত সেটা জানতে চাওয়া হলে আজমালুল আরও জানিয়েছেন, ‘এটা আমার এবং মক্কেলের গোপনীয় ব্যাপার। আমার মক্কেল আমাকে এক টাকা দিয়েও এঙ্গেজ (জড়িত) করতে পারে আবার এক হাজার টাকাও হতে পারে। এটা আমার বিষয় আপনাদের অবগত হওয়ার নয়।’
গত বছরের শেষ দিনে ফিফার শোকজের জবাব দিতে বাফুফের তিন কর্মকর্তা ও দুই আইনজীবীসহ জুরিখ গিয়েছিলেন সোহাগ। সেই অর্থ তিনি কোথায় পেয়েছিলেন সেই উত্তর নিজেই দিয়েছেন সোহাগ, ‘ইট ওয়াজ ম্যানেজড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে)।’