ঢাকা: নেপালের ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের পরই বাফুফের কড়া নজর ছিল জেমি ডের ওপর। ফাইনালে তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বাংলাদেশ শিরোপা হারিয়েছে–এমন ধারণায় ফেডারেশন কর্মকর্তারা বেজায় ক্ষুব্ধও হয়েছিলেন জেমির ওপর। আগামী জুনে কাতারে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আবারও ব্যর্থ হলে তাঁকে নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারে বাফুফে।
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট শেষে দেশে ফেরার পর জেমি ডে ও সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিনসের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। বৈঠকের পর বাফুফে–প্রধান বলেছিলেন, কোচের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয়। অন্তত কাতার পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে জেমি ডেকে। এরপরই দেশে ছুটি কাটাতে যান জেমি। ঢাকায় ফিরবেন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বকে সামনে রেখে, আগামী মাসের শুরুতে।
কোচের সঙ্গে বাফুফের বৈঠকের পরপরই ফিসফাস ছিল ছাঁটাই নয়, আসলে জেমিকে চাপে রেখে ভালোটা বের করে আনতেই একটা মনস্তাত্ত্বিক খেলা খেলছে ফেডারেশন।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথোপকথনে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগও জানালেন, ছাঁটাই বিষয়টা দ্রুতই মাথাতে আনছে না ফেডারেশন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সামনে একটা বড় প্রতিযোগিতা। এমন সময়ে এসব বিষয়ে আমরা ভাবছি না। আগে কাতার মিশন শেষ হোক, পরে পারফরম্যান্স বিবেচনায় ঠিক হবে করণীয়।’
ঈদের পরপরই সাত দিনের একটা ক্যাম্প হবে জাতীয় দলের ফুটবলারদের নিয়ে। ক্যাম্প শেষে কাতার চলে যাবে দল। এই দলে থাকছেন না বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়েরা।
তাঁরা তখন ব্যস্ত থাকবেন মালদ্বীপে এএফসি কাপ নিয়ে। মালদ্বীপ থেকে সোজা উড়ে যাবেন কাতারে। বাংলাদেশের কাতার পর্ব শুরু হতে পারে ২২ মে থেকে।
কাতারে একটু আগেভাগেই যেতে যায় বাংলাদেশ। খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি নিতে বাড়তি সময় দেওয়ার পাশাপাশি নজরে থাকবেন জেমি নিজেও। আবু নাঈম সোহাগ বলছেন, ‘দল নিয়ে বাড়তি সময় পেলে খেলোয়াড়-কোচ দুইয়ের জন্যই ভালো। হয়তো নতুন কেউ সুযোগ পেলেও পেতে পারেন, দলের আবহ বুঝতে তাঁর সময় লাগবে। কোচের নিজেরও কিছু সময় দরকার পড়তে পারে। যেহেতু নেপালে আমাদের শিরোপা জেতা হয়নি, ভুল-ভ্রান্তিগুলো বের করতে হলে কোচকে কিছুদিন সময় দেওয়া উচিত।’