ক্রীড়া ডেস্ক
প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৩-১ গোলে হারায় চেলসির পরের পথটা ছিল কঠিন। তবু হাল না ছেড়ে স্বপ্ন দেখার কথা বলেছিলেন চেলসি কোচ টমাস টুখেল। সেই স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তেও পৌঁছে গিয়েছিল তাঁর দল।
তবে করিম বেনজেমার অতিরিক্ত সময়ের গোলে শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। উত্থান-পতনের ধ্রুপদি লড়াইয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আট থেকে বিদায় নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। রিয়ালের মাঠে এদিন ৩-২ গোলে জিতেও হতাশ হতে হলো চেলসিকে।
এদিন শুরু থেকেই আক্রমণে যায় দুদল। চেলসির চেয়ে শুরুতে রিয়ালকেই বেশি সংগঠিত দেখালেও আগে গোল করে ম্যাচ জমিয়ে দেয় ব্লুজরা। ১৫ মিনিটে ম্যাসন মাউন্ট গোল করে এগিয়ে দেন চেলসিকে। গোল খেয়ে রক্ষণাত্মক ও ছন্নছাড়া হয়ে খেলতে শুরু করে রিয়াল।
অন্যদিকে গোল করে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে খেলতে শুরু করে চেলসি। দুই একবার কাছাকাছিও পৌঁছে গিয়েও হতাশ হতে হয় তাদের। তবে প্রতি আক্রমণ থেকে মাঝেমধ্যে রিয়ালও চেষ্টা করে ম্যাচে ফেরার। যদিও ইতিবাচক কিছু পায়নি তারাও। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে রিয়াল ডিফেন্সকে চাপে রেখেও আর গোল পায়নি চেলসি।
বিরতির পরও শুরু থেকে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে চেলসি। এ সময় দুর্দান্ত প্রেসিংয়ে রিয়াল রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিতে থাকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৫১ মিনিটে রিয়াল ডিফেন্সকে কাঁপিয়ে চেলসিকে দুই লেগ মিলিয়ে সমতায় ফেরান আন্তোনিও রুডিগার। রিয়ালের মাঠেই ২-০ তে লিড নেয় চেলসি।
গোল খেয়ে কিছুটা জেগে ওঠার চেষ্টা করে রিয়াল। পরপর কয়েকটি আক্রমণে গোলের সম্ভাবনাও জাগায় তারা। তবে পাল্টা আক্রমণে ৬২ মিনিটে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে স্তব্ধ করে দেন মার্কোস আলেনসো। হ্যান্ডবলের কারণে ভিএআরের ফাঁদে অবশ্য বাতিল হয় গোলটি। একটু পর প্রতি আক্রমণে বেনজেমার হেড ফিরে আসে বারে লেগে। ৭৫ মিনিটে বার্নাব্যুকে ফের হতাশায় ভাসান টিমো ভেরনার। দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে দারুণভাবে লক্ষ্যভেদ করেন এই জার্মান তারকা। এই গোলে দুই লেগে প্রথমবারের মতো ৪-৩ ব্যবধানে লিড নেয় চেলসি। একটু পর কর্তোয়া বাধা হয়ে না দাঁড়ালে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত স্টামফোর্ড ব্রিজের দলটি।
তবে নাটকীয় ম্যাচের শেষটা ফিকে করতে চায়নি রিয়াল। ৮০ মিনিটে লুকা মডরিচের অসাধারণ ক্রসে দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করে রিয়ালকে ফের ম্যাচে ফেরান রদ্রিগো। আবার সমতায় ফেরে খেলা। এই সমতা নিয়েই ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
নির্ধারিত সময়ে কিছুটা ম্লান হয়ে থাকা বেনজেমা জ্বলে ওঠেন অতিরিক্ত সময়ে। আবারও সেই দুর্দান্ত হেডে লক্ষ্যভেদ করে রিয়ালকে লিড এনে দেন রিয়াল স্ট্রাইকার। এই গোলটিই শেষ পর্যন্ত সেমিতে তুলে দেয় রিয়ালকে।