সাফ জেতার চার মাস পর প্রথমবারের মতো মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এর মাঝে অবশ্য ঘটে গেছে অনেক কিছুই। কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন সাবিনা খাতুনসহ ১৮ ফুটবলার। সেই বিদ্রোহের অবসানও ঘটিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু খেলতে চাননি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচে। বাটলারও তাঁদের নিতে আগ্রহী ছিলেন না।
দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে আগামীকাল আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা করবে বাংলাদেশ দল। সাফজয়ী দলের ১৮ জনই নেই। তার ওপর নতুন মুখ রয়েছেন ৯ জন। বিদ্রোহী কয়েকজন ফুটবলারকে নিয়ে এর আগে কঠোর অবস্থানে থাকলেও এখন সুর নরম হয়েছে বাটলারের। সাবিনাদের ফেরার জন্য দরজা খোলা রেখেছেন কোচ। তিনি বলেন, ‘সাফের কথা ভুলে যান, সেটা এখন অতীত। পেছনে তাকানোয় ক্ষতি নেই, তবে পেছনে পড়ে থাকলে চলবে না। আমরা নতুন অধ্যায় লেখার চেষ্টা করছি। অনুশীলনের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা। তারা (সাবিনারা) যেখানে ইচ্ছা যেতে পারে। তারা যদি বিপথগামী হয় তাহলে সেটা তাদের সমস্যা।’
দলের প্রত্যাশা নিয়ে বাটলার বলেন, ‘কে আছে, কে নেই—এনিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। এই মেয়েরা তরুণ, ভবিষ্যতের জন্যই এই নতুন দল গড়া। আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারিনি। আরও সময় পেলে ভালো হতো। আমি তাদের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখছি, তারা মাঠে নিজেদের সর্বোচ্চটা দেবে। এর বেশি আর কিছু চাওয়ার নেই।’
সাবিনাদের অভাব বোধ করছেন না নতুন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারও। তিনি বলেন, ‘আমি অভাব অনুভব করছি না কারণ আগেও আমি এদের (বর্তমান দলের সতীর্থদের) সঙ্গে খেলেছি; অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২০ দলে একইসঙ্গে খেলেছি। সিনিয়ররা যে ধাপে ধাপে অনুশীলন করেছে, আমরাও সেই ধাপে ধাপে অনুশীলন করেছি। আমাদের পুরো দলটাই ভালো। ইনশাল্লাহ আমরা ভালো ফল নিয়ে দেশে ফিরব।’
আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি। পরের ম্যাচটি ২ মার্চ মাঠে গড়াবে।