ক্রীড়া ডেস্ক
চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে যেতে বায়ার্ন মিউনিখকে হারালেই চলত বার্সেলোনার। ড্র করলে কিংবা হারলেও হতো, যদি নিজেদের ম্যাচে দিনামো কিয়েভের বিপক্ষে বেনফিকা হেরে যেত। তবে তেমন কিছুই হয়নি। বার্সার পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাই ৩-০ ব্যবধানে হেরে গ্রুপ পর্বেই থেমে গেল পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নদের দৌড়।
সর্বশেষ ২০ বছর আগে ২০০১-০২ মৌসুমে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোতে ব্যর্থ হয়েছিল বার্সা। সেই দলের খেলোয়াড় ছিলেন জাভি। এবার কোচ হিসেবে পেলেন সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা।
বায়ার্নের মাঠে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই চাপে ছিল বার্সা। বায়ার্নের গোছানো আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারছিল না কাতালান ক্লাবটি। নিজেদের আক্রমণগুলোও ছিল অগোছালো। উল্টো ৩৪ মিনিটে থমাস মুলারের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। রবার্ট লেভানডফস্কির বাড়ানো বলে মুলারের হেড বার্সা ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করলেও ততক্ষণে সেটা লাইন অতিক্রম করে যায়।
এরপর বিরতির আগেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় বায়ার্ন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে গোল করেন লেরয় সানে। ২ গোল খেয়ে প্রথমার্ধেই একরকম ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বার্সা। বিরতির পর অবশ্য তৃতীয় গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ান জামাল মুসিয়ালা।
আরেক ম্যাচে কিয়েভকে ২-০ গোলে হারিয়ে বার্সাকে পেছনে ফেলে বায়ার্নের সঙ্গী হয়েছে বেনফিকা।