নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘এমন হয়েছে যে আমরা ঢাকার উদ্দেশে সকালবেলা বাসে উঠেছি, পরের দিন সকালে সাতক্ষীরা পৌঁছেছি’—কিছুদিন আগেও ঈদ কিংবা উৎসবের মুহূর্তগুলো এভাবেই মাটি হতো সাবিনা খাতুনদের। ফেরিঘাটে অসহনীয় যানজটে দীর্ঘায়িত হতো পরিবারের সঙ্গে দেখা হওয়ার অপেক্ষা।
দীর্ঘদিনের অপেক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে সাবিনাদের মতো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ উদ্বোধন করেছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। ফেরিঘাটের অসহনীয় যানজটে পড়ে এখন আর বাসে ঈদ করতে হবে না তাদের।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে কেক কেটে উদ্যাপন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাফুফে ভবনে আজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নারী দলের কয়েকজন ফুটবলার।
তবে পদ্মা সেতুর প্রকৃত গুরুত্বটা সবচেয়ে বেশি বুঝতে পারছেন সাবিনার মতো মানুষেরা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা আর সুন্দরবনবেষ্টিত সাতক্ষীরার সঙ্গে সময়ের দূরত্ব কমে যাবে অনেকখানি। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক, ‘আমরা সাড়ে চার-পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে বাড়িতে চলে যাব। আমার মনে হয় আমরা যারা সাতক্ষীরা, খুলনা, বরিশাল এলাকার আছি, আমাদের চেয়ে খুশি আর কেউ নেই। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। আমাদের যেটা স্বপ্ন ছিল, সেটা বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’