নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ। আরেক গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ চোটে পড়লে বদলি নামেন তিনি। নেমেই হজম করেছিলেন গোল।
আসিফ মাঠে নামার আগে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ দল। গোল হজম করেও নিজেকে স্বাভাবিক রাখেন আসিফ। ১-১ সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত সময়। টাইব্রেকারে ভারতকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। টাইব্রেকারে দুটি শট ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান আসিফ।
স্নায়ু চাপ সামলে নিজেকে স্বাভাবিক ও আত্মবিশ্বাসী করে রাখার কারণেই সফল হয়েছেন আসিফ। নেপাল থেকে আজ ভিডিও বার্তায় সেসব গল্পই শোনালেন সংবাদমাধ্যমকে, ‘আমি যখন মাঠে নামি, তখন আমরা ১-০ গোলে এগিয়ে ছিলাম। আমি নামার পর একটা (গোল) হজম করি। তারপরও মানসিকভাবে শক্ত ছিলাম। ম্যাচ যেহেতু ড্র আছে, টাইব্রেকারে গেলে যেন জিততে পারি, নিজের ওপর এই বিশ্বাস রেখেছি।’
টাইব্রেকারেও মানসিকশক্তি ধরে রাখা এবং সতীর্থরা আসিফ জুগিয়েছেন সাহস, ‘আমার সতীর্থরা একেকজন একেক কথা বলছিল, তুই পারবি, এই সব। আমারও নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল। আর আমি ওদেরকে একটা কথাই বলেছি, তোমরা পাঁচটায় পাঁচটা গোলই করো, এর মধ্যে আমি ১-২টা সেভ করব, আমার ওপর এই বিশ্বাস রাখো। আমি স্বাভাবিক ছিলাম। আমার বিপক্ষে যে শটটা নেবে তাকে আমি বোঝাতে চেয়েছি যে, আমি স্বাভাবিক আছি। আর তার সঙ্গে মেন্টাল গেম খেলতে চেয়েছি, যেন সে স্নায়ুচাপে পড়ে।’
পেনাল্টি শুটআউটে ভারতের ফুটবলারদের সঙ্গে মাইন্ডগেম খেলে আসিফ দেখিয়েছেন দারুণ দক্ষতা। কীভাবে সেই কাজটি করেছেন, বললেন সে কথাও, ‘প্রথমটায় আমি তাকে একটু ধোঁকা দিয়েছি, এক সাইডে দেখিয়ে আরেক সাইডে ঝাঁপ দিয়েছি। ও আসলে এটা বোঝেনি, এই জন্যই বলের লাইনটা পেয়েছি। শেষ শটটা নেওয়ার আগে আমি ওর সঙ্গে মেন্টাল গেম করতে চেয়েছিলাম। তাকে বলছিলাম, তোমার শটটা আমি সেভ করব, এমন কিছু। আমার কাছে মনে হচ্ছিল, সে একটু চাপ অনুভব করছে। এরপর সে সোজা মেরে দিল।’ কাল স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ।