হোম > খেলা > ফুটবল

যেভাবে ইউরোপ সেরার মুকুট পরলেন টুখেল

ঢাকা: জার্মানির ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে বহিষ্কার হয়ে ২০১৮ সালে টমাস টুখেল গিয়েছিলেন ফ্রান্সে। সেখানেও টিকতে পারলেন কই এই জার্মান? তিন বছরের চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে বিদায় বলে দেয় ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। যদিও শেষ মৌসুমে নেইমার-এমবাপ্পেদের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তুলেছিলেন টুখেল।

মৌসুমের মাঝপথে চেলসির কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড চাকরি হারালে কপাল খুলে টুখেলের। চেলসির কোচের দায়িত্ব পান এই জার্মান। মাঝপথে দায়িত্ব পেয়ে নতুন কিছু করে তাক লাগিয়ে দেওয়ার পথে হাঁটেননি টুখেল। আস্থা রাখেন নিজের পরিচিত কৌশলে। খেলোয়াড়দের ওপর বিশ্বাস আর নিজের পরিচিত কৌশলে আস্থা, দায়িত্ব গ্রহণের চার মাসের মাথায় তাই টুখেল এখন চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী দলের কোচ।

কাল পর্তুগালের পোর্তোয় ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ট্রফি জেতে চেলসি। দ্বিতীয়বার ইউরোপ সেরার ট্রফি যায় স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে। ২০১২ সালে শেষবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল চেলসি।

তবে ফাইনালের আগে বাজির দরটা ছিল ম্যানচেস্টার সিটির দিকে। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার টুর্নামেন্টটির ফাইনালে ওঠে সিটিজেনরা। ট্রফি জিততে তাই মরিয়া ছিলেন ডি ব্রুইন-আগুয়েরোরা। লিগ ট্রফির পর চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পাল্লাটাও সিটির দিকে ভারী ছিল! দুর্দান্ত এক মৌসুম কাটিয়ে আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাও।

সবাই যখন সিটিকে নিয়ে ভাবছে, কান্তে-হাভার্টজরা নিজেদের সেরা খেলাটা জমিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালের জন্য। ফাইনালে দাবার যে চালগুলোতে ভুল করেছেন গার্দিওলা, সেখানেই তাঁকে ছাড়িয়ে গেছেন টুখেল। ফুটবল খেলাটা হয়তো এখানেই  অন্য খেলার চেয়ে আলাদা। কৌশলের ছোটখাটো মারপ্যাঁচে পুরো ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে, হাতছাড়া হতে পারে ট্রফিটাও। গার্দিওলা যেন সেখানেই হেরে গেলেন।

পুরো মৌসুমে গার্দিওলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে আস্থা রেখেছিলেন ফার্নান্দিনিয়ো অথবা রদ্রির ওপর। কাল ফাইনালে যেন একটু ভিন্ন কৌশলেই হেঁটেছেন গার্দিওলা। প্রথম একাদশে রাখেননি দুজনের কাউকেই। সেই সুযোগটাই নিয়েছেন টুখেল। হাভার্টজের যে একমাত্র গোলটায় শিরোপার মীমাংসা হয়ে গিয়েছিল, একজন মিড থাকলে পাসটা হয়তো তাঁর (হাভার্টজ) কাছেই পোঁছায় না। পরে ফার্নান্দিনিয়োকে নামালেও বিপদ যা হওয়ার তা তো আগেই হয়ে গেছে।

টুখেল কাজে লাগিয়েছেন তাঁর তিন ডিফেন্ডারকে। আজপিলিকুয়েতা-রুদিগার-সিলভার ডিফেন্সের দুর্দান্ত সমন্বয় ভুগিয়েছে সিটিকে। চোট পেয়ে সিলভা উঠে গেলেও সেই সমন্বয়ে ভাটা পড়েনি। সিলভার অভাব বুঝতেই দেননি ক্রিশ্চিয়েনসেন। সিটির আক্রমণগুলো ঠিকমতো সামলে নিয়েছে চেলসির রক্ষণভাগ।

ফাইনালে গার্দিওলা নিজের শক্তির জায়গা থেকে সরে এসেছিলেন। সেটা যে বুমেরাং হয়েছে, সিটির হারই তার বড় প্রমাণ। কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষায় না গিয়ে টুখেল বরং ভরসা রেখেছিলেন নিজের শক্তির জায়গায়। ট্রফি জিতে সেটারই প্রতিদান দিয়েছেন কান্তে-মাউন্টরা।

অনুশীলনে ক্রিকেট খেললেন হামজা চৌধুরী

‘অবিশ্বাস্য’, পেনাল্টি ঠেকিয়ে হাত ভাঙা গোলরক্ষক প্রসঙ্গে পিএসজি কোচ

ভারত ম্যাচে দেরি করায় বাফুফেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

কলম্বিয়ায় ফুটবল ম্যাচে সহিংসতায় আহত ৫৯

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

৫ গোলের থ্রিলারে রহমতগঞ্জের জয়, অঘটনের শিকার আবাহনী

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্রপ্রধানের অভিনন্দন

আর্জেন্টিনা-স্পেনের ‘ফিনালিসিমা’ কবে, কখন, কোথায়

১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসছে ফিফা বিশ্বকাপের ট্রফি

রোনালদোর রেকর্ড ভাঙার আরও কাছে এমবাপ্পে, বেঁচে গেল রিয়াল