ক্রীড়া ডেস্ক
অবশেষে যেন ‘মুক্তি’ পেল বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বশেষ দুই মৌসুম গ্রুপ পর্ব পেরোতে না পারার আক্ষেপের মুক্তি। গতকাল পোর্তোকে হারিয়ে ২০২১ সালের পর আবারও শেষ ষোলোয় সুযোগ পেয়েছে লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ভাবা যায়, চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্যতম সেরা দলটি শেষ দুই মৌসুম সুযোগ পায়নি শেষ ষোলোয়! তাই এবার সুযোগ পেয়ে খুশি হয়েছেন বার্সার কোচ জাভি হার্নান্দেজ। গ্রুপ পর্ব থেকে মুক্তি পাওয়ায় এই সাফল্যকে ‘বড় পদক্ষেপ’ হিসেবেই দেখছেন তিনি। ৪৩ বছর বয়সী কোচ বলেছেন, ‘মনে করি, এটি প্রকল্পের জন্য বড় পদক্ষেপ। নকআউট পর্বে আমাদের ফেরাটা প্রয়োজন ছিল। দুই বছর ইউরোপা লিগে খেলায় এটি ক্লাবের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফল নিয়ে খুবই খুশি এবং সন্তুষ্ট।’
তবে নিজেদের মাঠে ৩-২ ব্যবধানের জয়টা সহজ ছিল না। বিশেষ করে শুরুতেই গোল হজম করায়। বল পজিশনের সঙ্গে ভালো খেলার পরও পোর্তোর আক্রমণাত্মক ফুটবলের কাছে ৩০ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বার্সা। অতিথি দলকে লিড এনে দেন ফরোয়ার্ড পেপে আকিনা। গোল শোধ দিতে অবশ্য খুব বেশি সময় নেয়নি বার্সা। দুই মিনিট পরেই সমতায় ফেরে তারা।
সমতাসূচক গোলটিও ছিল বেশ দর্শনীয়। বাঁ প্রান্তে পেদ্রির কাছ থেকে পাস পেয়ে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে বক্সের মধ্যে পায়ের জাদুতে ভেলকি দেখিয়ে বুলেট গতির এক শট নেন জোয়াও কানসেলো। বার্সা ডিফেন্ডারের নেওয়া শটের বলটি জালে জড়ানো দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ডিয়েগো কস্তার।
সমতায় ফেরার পরেই ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয় বার্সেলোনা। তবে ৩ পয়েন্ট পাওয়ার জন্য যে জয়সূচক গোল দরকার, সেটা করতে পারছিলেন না পেদ্রি-রাফিনিয়ারা। বেশ কিছু সুযোগ পাওয়ার পরও কাজে লাগাতে পারেননি তাঁরা। এর মাঝে আবারও হতাশ করে হোয়াও ফিলিক্সকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের গোলেই জয় নিশ্চিত করে কাতালানরা। ৫৭ মিনিটে কানসেলোর পাস থেকে দলকে জয় এনে দেন তিনি।