ক্রীড়া ডেস্ক
আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফিরল সেরা দুই দলের লড়াই দিয়ে। পয়েন্ট টেবিলের দুই দলের ব্যবধানটা মাত্র এক পয়েন্টের হওয়ায় হাড্ডাহাড্ডি একটা লড়াইয়ের অপেক্ষা ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। কাঙ্ক্ষিত ম্যাচটা জমল শেষ মিনিট পর্যন্ত। নিজেদের মাঠে এগিয়ে থেকেও লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটিকে।
ম্যানসিটির মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে লিভারপুল খেলতে নেমেছিল এক পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে। দুই দলের ১-১ গোলের ড্রয়ে ব্যবধানটা যেমন ছিল, তেমনই থাকল। ১৩ ম্যাচে ম্যানসিটি পয়েন্ট ২৯, লিভারপুলের ২৮। দুই দলের হোঁচটে শীর্ষে ওঠার সুযোগ আর্সেনালের। আজ রাতে ব্রেন্টফোর্ডকে হারাতে পারলেই শীর্ষে উঠে যাবে আর্সেনাল।
এই ড্রয়ে ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা ম্যানসিটিকে থামাল লিভারপুল। আজকের ম্যাচের আগে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৩ ম্যাচে জয় ছিল সিটিজেনদের। এ কারণেই দুর্দমনীয় সিটিকে ম্যাচের আগে বেশ সমীহ করেছিলেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। সমীহ করেই সিটির মাঠ থেকে একটা পয়েন্ট ঠিকই বের করে নিয়ে গেছে ক্লপের দল।
নিজেদের মাঠে ম্যাচের ১১ মিনিটে লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের ভুল পাসে প্রথম সুযোগ ম্যানসিটির। ভুলের সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি ফিল ফোডেন, তার দুর্বল শট নিজেই ফেরান বেকার।
ম্যানসিটি গোলরক্ষক এদারসন দেয়াল হয়ে না দাঁড়ালে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এগিয়ে যেত লিভারপুল। জোয়েল মাতিপের ক্রস থেকে ডারউইন নুনিয়েজের হেড ক্ষিপ্র গতিতে ফেরান সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক।
প্রথম দফায় রক্ষা পেলেও বেকারের ভুলে ২৭ মিনিটে ঠিকই গোল হজম করে বসে লিভারপুল। ভুল শটে ম্যানসিটির ডাচ ডিফেন্ডার নাথান আকের পায়ে বল দিয়ে বসেন বেকার। প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে আকে বল বাড়ান আর্লিং হালান্ডের পায়ে। বক্সে শিকারির মতো ওত পেতে থাকা হালান্ড কোনো ভুল করেননি। কোনাকুনি শটে জালে বল জড়িয়ে গড়লেন রেকর্ড। অ্যান্ডি কোলকে ছাপিয়ে প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে দ্রুততম গোলের ফিফটি করলেন ২৩ বছর বয়সী হালান্ড। কোলের রেকর্ড করেছিলেন ৬৫ ম্যাচে, হালান্ড রেকর্ড গড়লেন মাত্র ৪৮ ম্যাচে! ম্যানসিটির জার্সিতে লিভারপুলের বিপক্ষে প্রথম গোলও পেলেন হালান্ড।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগের মিনিটেও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল স্বাগতিক সিটির সামনে। ডান প্রান্ত ধরে ফিল ফোডেনের নিচু শট জালে জড়ালে লিভারপুলের ফেরার চেষ্টা শেষ হয়ে যেত প্রথমার্ধেই।
চার মিনিট পর সমতা ফেরানোর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি লিভারপুলের উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড নুনিয়েজ। তার ডান পায়ের শট ঠেকান ম্যানসিটি গোলরক্ষক অ্যাডারসন।
নুনিয়েজ না পারলেও ৮০ মিনিটে লিভারপুলকে সমতায় ফেরায় ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের গোল। মোহামেদ সালাহর পাস ধরে কোনাকুনি শটে দারুণ এক ফিনিশিং দেন লিভারপুল ডিফেন্ডার।
ম্যাচের শেষ মিনিটেও জেতার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি হালান্ড। কর্নার থেকে হালান্ডের হেডে বলে সংযোগ ঘটল না। পয়েন্ট হারানোর যন্ত্রণায় মাথায় হাত ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলার।