ক্রীড়া ডেস্ক
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল পুনর্মিলনী। বন্ধু লুইস সুয়ারেজের প্রতিপক্ষ হয়ে খেলবেন লিওনেল মেসি। কিন্তু উরুগুয়ে স্ট্রাইকার না নামায় তা আর হয়নি। অবশ্য মার্সেলো বিয়েলসার দিক থেকে হয়েছে।
আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার সাবেক কোচ আজ ছিলেন উরুগুয়ের ডাগআউটে। এমন উপলক্ষের সেই ম্যাচেই কিনা ক্ষুব্ধ হলেন মেসি। প্রতিপক্ষের তরুণ খেলোয়াড়দের তাঁদের সিনিয়রদের কাছ থেকে সম্মান শিখতে বলেছেন অষ্টম ব্যালন ডি অর বিজয়ী।
টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর আজ ২–০ গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা। সেটিও আবার নিজেদের মাটিতে। তাই স্বাভাবিকভাবেই মেসির মন খারাপ থাকার কথা। সঙ্গে ম্যাচে দুই দলের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা। বিশেষ করে প্রতিপক্ষের তরুণ এক খেলোয়াড়ের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিতে বিরক্ত মেসি।
ম্যাচ শেষে তাই মেসি বলেছেন, ‘এমন ম্যাচে আক্রমণাত্মক আবহ স্বাভাবিক। উরুগুয়ের বিপক্ষে এমনটাই হয়। এটা তেমন কিছু না। তবে আমি যা ভাবছি, সেটা বলতে চাইছি না। কিন্তু তাদের তরুণ খেলোয়াড়, যাদের ভালো প্রজন্ম আছে তাদের শেখা উচিত কীভাবে প্রতিপক্ষকে সম্মান করতে হয়। সেটা তাদের সিনিয়রদের কাছে শিখতে পারে। এসব ম্যাচে সব সময় এমন আক্রমণাত্মক আবহ থাকতেই পারে, তবে সেটা শ্রদ্ধার সঙ্গে। তাদের আরও কিছুটা শিখতে হবে।’
মেসি যে ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সেটি ম্যাচের ১৯ মিনিটের সময় ঘটেছে। এক ফাউল নিয়ে আলবিসেলেস্তাদের ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ও উরুগুয়ের ম্যাক্সিমিলিয়ানো আরাউহোর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। সেখানেই ২২ বছর বয়সী উরুগুয়ের ফুটবলার ম্যানুয়েল উগারতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব লাগে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলের। দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে ডি পলকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন তরুণ এই ফুটবলার। সেই ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মেসি। তিনিও অবশ্য এই ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়েছিলেন। তাঁকে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের গলা চেপে ধরতেও দেখা যায়।