ক্রীড়া ডেস্ক
১৩ বছর পর স্বপ্নের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মিলান। সেমিফাইনালে দুই লেগ মিলে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানের কাছে কোনো গোলই হজম করেনি ইন্টার। ইন্টারের স্বপ্নের ফাইনালে ওঠার পাশাপাশি ইতিহাস গড়ার হাতছানি রয়েছে লাওতারো মার্তিনেজের।
সান সিরোতে গত বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে প্রথম লেগে মুখোমুখি হয়েছিল এসি মিলান ও ইন্টার মিলান। মিলানকে তখন ২-০ গোলে হারিয়েছিল ইন্টার। গতকাল একই মাঠে আবার দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয় এই দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী। এবার ১-০ গোলে জয় পায় ইন্টার। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে রোমেলু লুকাকুর অ্যাসিস্টে গোল করেন মার্তিনেজ। দুই লেগ মিলে ৩-০ গোলের জয়ে ফাইনালে ওঠে ইন্টার। ইউরোপ-সেরার এই টুর্নামেন্ট জিতলে আর্জেন্টিনার প্রথম ফুটবলার হিসেবে এক মৌসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের কীর্তি গড়বেন মার্তিনেজ। ২০২২-এর ১৮ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী দলে ছিলেন তিনি। আগামী ১০ জুন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টারের প্রতিপক্ষ কে হবে তা জানা যাবে আজ রাতে। ইতিহাদে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আজ মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদ।
এর আগে ১১ ফুটবলার একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে ডাবলের রেকর্ড গড়েছেন, যার মধ্যে ১৯৭৪ সালেই করেছিলেন জার্মানির ৭ ফুটবলার। সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগের নাম ছিল ইউরোপীয়ান কাপ। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জার্মানি। এরপর ১৯৯৮, ২০০২, ২০১৪, ২০১৮—এই চার বছর এক জন করে ফুটবলার ছিলেন এই এলিট ক্লাবে।
এক মৌসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী ফুটবলার:
১৯৭৪: সেপ মায়ার, পল ব্রেইটনার, হ্যান্স গর্গ সোয়ার্জেনবার্গ, ফ্রঞ্জ বেকেনবাওয়ার, জার্ড মুলার, উলি হোনেস, ইয়ুপ কাপেলমান (পশ্চিম জার্মানি এবং বায়ার্ন মিউনিখ)
১৯৯৮: ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু (ফ্রান্স এবং রিয়াল মাদ্রিদ)
২০০২: রবার্তো কার্লোস (ব্রাজিল এবং রিয়াল মাদ্রিদ)
২০১৪: সামি খেদিরা (জার্মানি এবং রিয়াল মাদ্রিদ)
২০১৮: রাফায়েল ভারান (ফ্রান্স এবং রিয়াল মাদ্রিদ)