লুসাইলের আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল যেন থ্রিলার মুভিকেও হার মানিয়েছে। প্রতি মুহূর্তেই ম্যাচের বাঁক বদলেছে প্রতি মিনিটে। শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের নৈপুণ্যে শিরোপা জিতল আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছর পর শিরোপাখরা ঘুচল আকাশি-নীলদের।
ম্যাচের শুরু থেকেই প্রেসিং ফুটবল খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। ৩ মিনিটে রদ্রিগো ডি পলের আক্রমণ প্রতিহত করেছিলেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস। যদিও তা অফসাইড ছিল। এরপর ৮ মিনিটে কর্নার পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে মেসির শটের পর ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ফাউল করেন লরিসকে। ফ্রান্সের গোলরক্ষক ব্যথা পেয়েছিলেন বলে ২ মিনিট বন্ধ ছিল। ১৩ মিনিটের সময় কিলিয়ান এমবাপ্পে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ১৯ মিনিটে ফ্রান্স আরও একটা গোলের সুযোগ পেয়েছিল। তবে হেড ঠিকঠাক সংযোগ করতে পারেননি অলিভিয়ার জিরু।
প্রেসিং ফুটবল খেলতে থাকা আর্জেন্টিনা গোলের দেখা পায় ২২ মিনিটে। ২১ মিনিটে দি মারিয়াকে ফাউল করেন ওসমান দেম্বেলে। ২২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লরিসকে বোকা বানিয়ে গোল করেন মেসি। ৩৬ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর পাস থেকে মেসি, এরপর মেসি পাস দেন অ্যালেক্সিস ম্যাক আলিস্টারকে। অ্যালিস্টারের পাস রিসিভ করে লরিসকে ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ সুযোগে গোল করেন দি মারিয়া। ২ গোলে পিছিয়ে থেকে ফ্রান্স গোল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এমনকি ৪০ মিনিটের সময় জিরু, দেম্বেলে-দুজনকেই উঠিয়ে নেন দিদিয়ের দেশম। তবে ফ্রান্স প্রথমার্ধে কোনো গোল করতে পারেনি। ২-০ তে এগিয়ে থেকে প্রথম ৪৫ মিনিট শেষ করে আকাশি-নীলরা।
১২০ মিনিটে ৩-৩ সমতায় শেষে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথম শট নিয়েই গোল করেন এমবাপ্পে। এরপর গোল করেন মেসি। টাইব্রেকারে ১-১ সমতার পর ফ্রান্সের কিংসলে কোমান, অরিলিয়ে চুয়ামেনি-এই দুজনের শট ঠেকিয়ে দেন মার্তিনেজ। আর গঞ্জালো মন্তিয়েলের গোলে শেষ হাসি আর্জেন্টিনার।