মালিক রোমান আব্রাহোমোভিচকে নিয়ে ভালোই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চেলসি কোচ টমাস টুখেল। জার্মান কোচের ভয়, রাশিয়ান মালিকের কারণে সমর্থকদের রোষানলে পড়তে পারে তাঁর দল।
ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের প্রতিবাদ হিসেবে পুতিনপন্থী তিন ধনকুবের ব্যবসায়ীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাবনা এসেছে ব্রিটিশ সংসদ থেকে। আব্রাহোমোভিচের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ ও চেলসির মালিকানা কেড়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন দেশটির লেবার পার্টির নেতা ক্রিস ব্রায়ান্ট।
২০০৩ সালে চেলসির মালিকানা কিনে নেন রাশিয়ান ধনকুবের তেল ব্যবসায়ী রোমান আব্রাহোমোভিচ। দলকে ইউরোপা সেরা দল বানাতে ঢেলেছেন কোটি কোটি পাউন্ড। ২০১৮ সালে দুর্নীতির অভিযোগে ব্রিটেনে প্রবেশ সীমিত হয়ে গেছে আব্রাহোমোভিচের। একটা সময় নিয়মিত তাঁকে মাঠে এসে সমর্থন দিতে দেখা গেলেও রাশিয়ান ব্যবসায়ীকে এখন খুব বেশি স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দেখা যায় না। অবশ্য এই মাসের শুরুর দিকে আবু ধাবিতে ক্লাব বিশ্বকাপের সময় মাঠে ছিলেন আব্রাহোমোভিচ।
রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আব্রাহোমোভিচের কারণে সমর্থকেরা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন, এমন ভাবনাই ঘুরপাক খাচ্ছে টুখেলের চিন্তায়। নিজ সমর্থকদের কাছ থেকেই ধুয়ো শোনার ভয়ও পাচ্ছেন চেলসি কোচের। ওয়েম্বলিতে লিভারপুলের বিপক্ষে রোববার কারাবাও কাপের ফাইনাল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন এসে টুখেলকে বেশির ভাগটা সময় ব্যস্ত থাকতে হলো আব্রাহোমোভিচকে ঘিরে সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিতে।
টুখেল বলেছেন, ‘কিছু হয়নি, আমরা এমন ভাব করে থাকতে পারি না। আমিসহ ক্লাবের বাকি সবার অবস্থা এখন ভয়াবহ। কেউ এমন পরিস্থিতির কথা কল্পনাও করেনি। এই দুশ্চিন্তা আমাদের সবার চিন্তা-ভাবনাকে ঘোলাটে করে রেখেছে। আমাদের নিয়ে এখন যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে আমি এর ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনো চেষ্টাও করব না। একটা জিনিস ভালোই বুঝতে পারছি, এসব মন্তব্য থেকে আমরা পুরোপুরি মুক্তও নই।’
তাই বলে আবার মালিকের কারণে সমালোচনাও শুনতে রাজি নন টুখেল, ‘আমরা তো আর এসবের জন্য দায়ী নই। আমরা যে আতঙ্ক বোধ করছি সেটা লুকাতেও চাচ্ছি না। ইউরোপের মানুষ লম্বা সময় ধরে যুদ্ধের বিভীষিকা ভুলে ছিল। এখন ধৈর্য ধরতে হবে, পরিস্থিতি কোথাও যায় সেটা বিবেচনা করতে হবে, পরে করণীয় ঠিক করে আমরা এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করব।’