মেয়েদের ঘরোয়া ফুটবল লিগের মান নিয়ে এখনো নানা প্রশ্ন। সেই মান কীভাবে বাড়ানো যায় এবং বড় পরিসরে কীভাবে ঘরোয়া লিগ আয়োজন করা যায় সেটা নিয়ে আজ ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে বাফুফে। যদিও আলোচনায় অংশ নেয়নি দেশের তিন শীর্ষ ক্লাব ক্লাব বসুন্ধরা কিংস, ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডান। বাকিদের মধ্যে মত বিনিময় সভায় ছিল প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি।
যত দূর জানা গেল, পেশাদার লিগের ক্লাবগুলোকে সভার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান এই বিষয়ে অবগত নন। যদিও বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণের যুক্তি, ‘আমি দেশের শীর্ষ দশটি ক্লাবকে ডেকেছি। কোনো কমিটির অধীনে ক্লাবকে ডাকা হয়নি। এটা সম্পূর্ণ ক্লাবগুলোর এখতিয়ার বা স্বাধীনতা কোন খেলা খেলবে কি খেলবে না।’ মোহামেডান ক্লাবের দাবি, তারা নারী দল গঠনে আগ্রহী হলেও গতকালের সভায় কোনো চিঠি পায়নি।
সাধারণত নারী লিগ এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ফিফার নির্দেশনা অনুযায়ী এবার লিগের সময়টা বাড়াতে চায় বাফুফে। যেমনটা বলেছেন কিরণ, ‘ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে খেলোয়াড়দের পুল করার বিষয়টি এসেছে। এতে দলগুলো প্রায় সমশক্তির এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান বাড়বে। আর ফিফার স্বীকৃতি পেতে হলে লিগের দৈর্ঘ্য ছয় মাস এবং ৯০ ম্যাচ হতে হবে। ক্লাবগুলোকে বিষয়টি বলা হয়েছে। ক্লাবগুলো এ জন্য ফেডারেশনের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছে। বিষয়টি সভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির সঙ্গে আমি আলোচনা করব।’
এ দিকে সভা শেষে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির কর্মকর্তা হাজি টিপু সুলতানও অনুদানের বিষয়টি তুলে ধরেছেন, ‘একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে দশ লাখ টাকা ফেডারেশনকে অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। অন্য ক্লাবগুলোও এতে সায় রয়েছে। আর্থিক সহায়তা না পেলে দীর্ঘমেয়াদি লিগ চালানো সম্ভব নয়।’