ক্রীড়া ডেস্ক
ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে প্রথম ভাগেই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বেনফিকা লড়াইয়ে ফেরার আভাস দিয়েছিল বটে; কিন্তু পূর্ণশক্তির লিভারপুলের সঙ্গে পেরে উঠল না। ঘরের মাঠে স্রেফ অসহায় আত্মসমর্পণ করল পর্তুগিজ জায়ান্টরা। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে অল রেডরা জিতল ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে।
দুর্দান্ত এই জয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের পথ অনেকটাই সুগম করে ফেলল লিভারপুল। আগামী ১৩ এপ্রিল ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ড স্টেডিয়ামে শেষ আটের ফিরতি লেগে বেনফিকাকে আতিথেয়তা দেবে অল রেডরা। ওই ম্যাচে ড্র করলেই চলবে তাদের। এক গোলের ব্যবধানে হারলেও সমস্যা হবে না ইয়ুর্গেন ক্লপের ছাত্রদের।
বেনফিকার মাঠে প্রথমার্ধেই দুই গোল করে ফেলে লিভারপুল। ১৭ মিনিটে গোল করে ইংলিশ জায়ান্টদের উচ্ছ্বাসে ভাসান ইব্রাহিমা কোনাতে। লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে এটাই তাঁর প্রথম গোল। সমতায় ফিরতে উন্মুখ স্বাগতিকেরা উল্টো হজম করে আরও একটি গোল। প্রথম গোলের ১৭ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিভারপুলের সেনেগালিজ সেনসেশন সাদিও মানে।
বিরতি থেকে ফিরেই মান বাঁচায় বেনফিকা। ব্যবধান কমান (২-১) ডারউইন নুনেজ। গোলটা পর্তুগিজ ক্লাবটির জন্য সান্ত্বনার উপলক্ষ হয়ে থাকল কেবল। দ্বিতীয় গোলটা আর পায়নি বেনফিকা। বরং ম্যাচের অন্তিম প্রহরে তৃতীয় গোল হজম করে স্বাগতিকেরা। মানের গোলের উৎস লুইস দিয়াজ এবার নিজেই নাম তুললেন স্কোরারশিটে।
এই হারে সুতোয় ঝুলে গেল বেনফিকার সেমিফাইনাল ভাগ্য। শেষ চারে যেতে হলে দ্বিতীয় লেগে লিভারপুলের মাঠে অলৌকিক প্রত্যাবর্তন করতে হবে তাদের। জিততে হবে অন্তত ৩ গোলের ব্যবধানে। তাও আবার কোনো গোল হজম করা চলবে না।