রেকর্ড টানা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার কীর্তি নিয়ে উয়েফা নেশনস লিগের সেমিফাইনালে খেলতে নেমেছিল ইতালি। স্পেনের বিপক্ষে এই ম্যাচ জিতলে ইউরোর পর আরও একটি শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেত আজ্জুরিরা। তবে ইতালির অপরাজিত থাকার রেকর্ড থামিয়ে উল্টো ফাইনালে উঠেছে স্পেন। সান সিরোর সেমিফাইনালে স্পেনের জয় ২-১ গোলের ব্যবধানে। জোড়া গোলে স্পেনের জয়ের নায়ক ফেরান টরেস।
এই জয়ে ইউরোর সেমিফাইনালে হারার প্রতিশোধও নিয়ে নিল স্পেন৷ সেবার টাইব্রেকারে হার মানতে হয়েছিল স্পেনকে। এই ম্যাচে স্পেন ১৭ বছর বয়সী গাভিকে মাঠে নামায় শুরু থেকেই। যিনি এখন স্পেনের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ও বটে৷
নিজেদের চেনা পরিবেশেই স্পেনের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ইতালি। শুরু থেকে আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে লড়াইও জমে ওঠে। দুই দলই এ সময় সুযোগ তৈরি করে। তবে প্রথমে বাজিমাত করে স্পেন। ১৬ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে বুদ্ধিদীপ্ত ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন টরেস। পিছিয়ে পড়ে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করে ইতালি। সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করলে দ্রুতই সমতায় ফিরতে পারত আজ্জুরিরা। ইতালির ওপর বড় বিপদ নামে ম্যাচের ৪১ মিনিটে। সার্জিও বুসকেটসকে কনুই দিয়ে ধাক্কা মেরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ও একইসঙ্গে লাল কার্ড মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চি।
১০ জনের ইতালিকে চাপে ফেলে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েই করে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন টরেস।
বিরতির পর ইতালিকে চেপে ধরে স্পেন। ধারাবাহিক আক্রমণে গিয়ে বেশ কিছু সুযোগও সৃষ্টি করে। কিন্তু সেগুলো আর কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ১০ জনের ইতালি অবশ্য শেষ দিকে এক গোল শোধ করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে। তবু আর পেরে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে স্পেন।