বর্তমান ফুটবলের সেরা পেনাল্টি টেকারদের একজন তিনি। ক্লাব চেলসির হয়ে অধিকাংশ পেনাল্টি নেন তিনিই। সেই জর্জিনিয়োই কিনা সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন পেনাল্টি মিস। কে জানত, সেই সুযোগ নষ্ট করার খেসারত ইতালিকে দিতে হবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ার মধ্যে দিয়ে?
গ্রুপ পর্বে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই লেগেই পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করেছিলেন জর্জিনিয়ো। চারবারের বিশ্বকাপজয়ীরা নষ্ট করেছিল সহজ দুই জয়ের সুযোগ। এ দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেলেও আজ এই দুরবস্থা দেখতে হয় না আজ্জুরিদের। আগের বিশ্বকাপে খেলতে না পারার আক্ষেপটা পূরণ হয় এবার।
এই দুই পেনাল্টি নষ্টের বিষয়টিও হয়তো এতটা গুরুত্ব পেত না যদি কাল উত্তর মেসেডোনিয়ার বিপক্ষে জয় পেত ইতালি। পালের্মোতে চির রক্ষণাত্মক ইতালিকে রক্ষণের আসল সংজ্ঞা বুঝিয়ে কাল শেষ সময়ে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিয়েছে উত্তর মেসেডোনিয়া।। আর এই এক হারে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বমঞ্চে খেলতে ব্যর্থ রবার্তো মানচিনির দল। টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ খেলছে না ইতালি, ফুটবল বিশ্বের কাছে এমন দৃশ্য যে একেবারেই অচেনা।
অথচ বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ার আগ পর্যন্ত দুর্দান্ত খেলছিল ইতালি। গত বছর জিতেছে মহাদেশীয় শিরোপার শ্রেষ্ঠত্ব ইউরো কাপ। ইউরোপের সেরা দল হয়েও বিশ্বকাপে খেলতে না পারার দুঃখটা জর্জিনিয়োর কষ্টটা বাড়িয়ে দিচ্ছে দ্বিগুণ, ‘ভীষণ কষ্ট। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না। আমাদের দলটায় সৃজনশীলতার কোনো অভাব ছিল না। সবগুলো ম্যাচেই আধিপত্য দেখিয়েছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বকাপে খেলতে পারছি না।’