ক্রীড়া ডেস্ক
মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল—যে দল জিতবে তারাই উয়েফা কনফারেন্স লিগের নতুন চ্যাম্পিয়ন হবে। তবে ফিওরেন্টিনার চেয়ে অলিম্পিয়াকোসের সামনে আরও বড় ইতিহাস গড়ার সুযোগ ছিল। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহারও করেছে গ্রিসের ক্লাব।
অ্যাথেন্সের সোফিয়া স্টেডিয়ামে গতকাল ফিওরেন্টিনাকে ১-০ গোল হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে অলিম্পিয়াকোস। গ্রিসের প্রথম ক্লাব হিসেবে ইউরোপিয়ান কোনো শিরোপা জিতেছে তারা। গ্রিস ফুটবলের ইতিহাসে এমন নজির নেই দেশটির কোনো ক্লাবের। এর আগে সর্বোচ্চ সাফল্য বলতে ১৯৭১ সালে ইউরোপিয়ান কাপে (বর্তমানে চ্যাম্পিয়নস লিগ) রানার্সআপ হয়েছিল গ্রিসের সবচেয়ে সফল দল প্যানাথিনাইকোস।
কাবির গোলেই স্মরণীয় মুহূর্তটা উপভোগ করছেন গ্রিক সমর্থকেরা। নির্ধারিত সময় শেষে যখন অতিরিক্ত সময়ও শেষের পথে, ঠিক তখনই ক্লাব সমর্থকদের শ্রেষ্ঠতম মুহূর্তটি এনে দিলেন মরোক্কান স্ট্রাইকার। ১১৬ মিনিটে গোল করে পাইরায়েয়ুস অঞ্চলকে উৎসবের নগরী বানিয়ে দিলেন তিনি। অঞ্চলটির কোরাই স্কয়ার আতশবাজি ও পটকায় এখন মুখরিত।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না অলিম্পিয়াকোসের উইঙ্গার গিওর্গোস মাসুরাস। তিনি বলেছেন, ‘বলার ভাষাই হারিয়েছি। আমরা এখন ইউরোপের অভিজাতদের কাতারে। তবে এই ধরা আমাদের ভবিষ্যতে ধরে রাখতে হবে।’
অলিম্পিয়াকোসের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে ফিওরেন্টিনার কষ্টটা আরও বেড়েছে। গতবারও উয়েফার তৃতীয় স্তরের লিগ শিরোপাজয়ের সুযোগ পেয়েছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি। কিন্তু সেবারও হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছে তাদের। গত মৌসুমে ওয়েস্ট হামের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল তারা।