চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্যতম সফল দল বার্সেলোনা এখন নেমে গেছে ইউরোপা লিগে। তবে ১৮ বছর পর ইউরোপায় ফেরাটাও ভালো হলো না বার্সার। ঘরের মাঠে নাপোলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে জাভি হার্নান্দেজের দল। ম্যাচজুড়ে বার্সা দাপট দেখালেও স্কোরশিটে এর প্রতিফলন দেখা যায়নি।
ন্যু ক্যাম্পে শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে লড়াই। তবে নাপোলির চেয়ে বার্সার দাপটই ছিল বেশি। ম্যাচে বলের দখল ও সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল বার্সাই। এদিন ৬৭ শতাংশ বল দখলে রেখে বার্সা শট নেয় ২১টি, যার ৫টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে ৩৩ শতাংশ বলের দখল রাখা নাপোলি ৪টি শট নিতে পারে। তবে তাদের সব কটি শটই ছিল লক্ষ্যে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই একাধিক সুযোগ নষ্ট করে জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। সুযোগগুলো হাতছাড়া না হলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে পারত কাতালান পরাশক্তিরা।
বার্সা সুযোগ হাতছাড়া করলেও ভুল করেনি নাপোলি। ২৯ মিনিটে জিয়িলেনিস্কির গোলেই এগিয়ে যায় অতিথিরা। জিয়িলেনিস্কির শট প্রথমবার বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগেন ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি শটে ঠিকই বল জালে জড়ান এই পোলিশ তারকা।
বিরতির পরও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বার্সার দখলে। সমতায় ফিরতে নাপোলিকে চাপেও রাখে তারা। অবশেষে পেনাল্টি থেকে কাঙ্ক্ষিত গোলটি আসে ৫৯ মিনিটে। ডি-বক্সের ভেতরে হুয়ান জেসুসের হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করে দলকে ম্যাচে ফেরাতে ভুল করেননি ম্যানচেস্টার সিটি থেকে বার্সায় আসা তোরেস। তাঁর এই গোলেই হার এড়িয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা।
তবে ম্যাচের পর দলকে জেতাতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তোরেস। এ সময় সতীর্থদের এগিয়ে এসে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় তাঁকে। ম্যাচে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন এই স্প্যানিশ তরুণ।
রাতের অন্য ম্যাচে রেঞ্জারসের কাছে ৪-২ গোলে হেরেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।