ক্রীড়া ডেস্ক
চোটের কারণে চলতি মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। তবে গত মৌসুমে যা করেছেন, সেটির পুরস্কার পেলেন রদ্রি। পেলেন প্রথম ব্যালন ডি’অরের স্বাদ। ম্যানচেস্টার সিটির ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তিগত মর্যাদার এই বর্ষসেরা পুরস্কার জিতলেন স্পেনের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
স্পেন ও সিটির হয়ে গত ১৯ মাসে হেরেছেন মাত্র ১ ম্যাচ। এই সময়ের মধ্যে জিতেছেন ১টি চ্যাম্পিয়নস লিগ,২টি প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, উয়েফা সুপার কাপ, ক্লাব বিশ্বকাপ, নেশনস লিগ ও ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। গত মৌসুমে সিটির হয়ে খেলেছেন ৬৩ ম্যাচ। তবে গত সেপ্টেম্বরে গোড়ালির চোটে পড়ে শেষ হয়ে গেছে এই মৌসুম।
গত মৌসুমে সিটিকে প্রিমিয়ার লিগ ও স্পেনকে ইউরো জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন রদ্রি। এবারের ব্যালন ডি’অরের জন্য ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাশাপাশি তাঁর নামই শোনা গেছে বেশি। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত রাতে প্রথম ব্যালন ডি’অর জিতলেন রদ্রি। মঞ্চে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এসে কিংবদন্তি জর্জ উইয়ার হাত থেকে নেন এই পুরস্কার। অনুষ্ঠানে স্প্যানিশ তারকার সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর বান্ধবী লরাও।
গতকাল ছিল দুজনের বিবাহ বার্ষিকীও। বিশেষ দিনে এই পুরস্কার পেয়ে বেশ খুশি রদ্রি। অনুষ্ঠানে রদ্রি বলেন, ‘আজ খুব বিশেষ দিন—শুধু আমার জন্য নয়, আমার পরিবার ও দেশের জন্যও। সবার আগে, আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে ধন্যবাদ দিতে চাই—আমার বান্ধবী লরা। আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী এবং তাকে ছাড়া এসব কিছু করা হতো না। ধন্যবাদ আমার পরিবারকে, আমাকে মূল্যবোধ শেখানো ও মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য।’
রদ্রি এই বিশেষ দিনে ভুলে যাননি তাঁর সতীর্থদের। বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে আমি আমার সতীর্থদের ভুলতে চাই না। আমি জানি ফুটবল এক দলীয় খেলা। ম্যানচেস্টার সিটি, তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তুমি বিশেষ কিছু। আমি জানি, তোমাকে ছাড়া এটা আমি করতে পারতাম না। আমার কাছে এটাই বিশ্বের সেরা ক্লাব। আমি আমার জাতীয় দলের সতীর্থ ও লুইসকে (স্পেন কোচ) ধনবাদ জানাই আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য।’