২০২৪ সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক পেয়েছিল গত ৬ ফেব্রুয়ারি। আজ চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে সেই পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে আজ দুপুরে এই পদক গ্রহণ করেন নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দাও পুরস্কার গ্রহণ করেন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সর্বশেষ সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দলের অন্য ফুটবলাররাও। পুরস্কার শেষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সাবিনা বাফুফের সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়াল, বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আকতার কিরণসহ ফেডারেশন সংশ্লিষ্ট সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
২০২৪ সালের অক্টোবরে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। সাফজয়ী সেই দলে ছিলেন রুপনা চাকমা, ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, মাসুরা পারভীন, কোহাতি কিসকু, আফিদা খন্দকার, নিলুফা ইয়াসমিন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শিউলি আজিম, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, আইরিন আক্তার, মাতসুশিমা সুমাইয়া, শাহেদা আক্তার রিপা, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও মোসাম্মাৎ সাগরিকা। সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছিলেন রূপনা ও ঋতুপর্ণা চাকমা পেয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
বাংলাদেশ সবশেষ নারী সাফ জিতেছিল কোচ পিটার বাটলারের অধীনে। তবে কদিন আগে বাটলারের অধীনে সাফজয়ী ১৮ নারী ফুটবলার অনুশীলন বর্জনের পাশাপাশি গণ-অবসরের হুমকিও দিয়েছিলেন। এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলাদেশ নারী দল পায় একুশে পদকের পুরস্কার।