ক্রীড়া ডেস্ক
রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে প্রথম মৌসুমেই স্মরণীয় একটা সময় পার করছেন এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গা। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে প্রথম মৌসুমেই জিতেছেন লা লিগা শিরোপা। ১৯ বছর বয়সেই আজ রাতে জেতা হয়ে যেতে পারে প্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাও।
ফরাসি ক্লাব রেনে থেকে এই মৌসুমের শুরুতে রিয়ালে নাম লেখান কামাভিঙ্গা। বয়স কুড়ি পেরোনোর আগেই রিয়ালের মাঝমাঠে কার্লো আনচেলত্তির প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছেন ফরাসি মিডফিল্ডার। আক্রমণভাগে ব্রাজিলিয়ান রদ্রিগোর সঙ্গে কামাভিঙ্গার রসায়নটাও চোখে পড়ার মতো।
রেনের যুব একাডেমি থেকে ১৬ বছর বয়সেই মূল দলে অভিষেক কামাভিঙ্গার। মাঝমাঠে দারুণ খেলে নজর কেড়েছিলেন ইউরোপের বড় দলগুলোর। পরিশ্রম আর মেধায় আজ রিয়ালের হয়ে স্টাডে ডে ফ্রান্স স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে খেলতে নামবেন কামাভিঙ্গা। অথচ আজ ফুটবলার না হয়ে অ্যাঙ্গোলা বংশোদ্ভূত কামাভিঙ্গার জীবনটা হতে পারত অন্যরকম।
২০০২ সালে অ্যাঙ্গোলার এক শরণার্থীশিবিরে জন্ম কামাভিঙ্গার। সেখান থেকে দুই বছর বয়সে ফ্রান্সে পাড়ি জমায় তার পরিবার। শরণার্থীদের জীবনে দুঃখ-কষ্ট তাই ভালোই জানা কামাভিঙ্গার।
নিজের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালটা জিততে পারলে সেটা শরণার্থীদের জয় হবে বলে মন্তব্য ফরাসি মিডফিল্ডারের। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারকে এক সাক্ষাৎকারে কামাভিঙ্গা বলেছেন, ‘যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা অ্যাঙ্গোলার এক শরণার্থীশিবিরে আমার জন্ম। ফ্রান্সে আমার মা-বাবা আমাকে নতুন একটা জীবন দিয়েছেন বলেই আজ আমি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। একজন সাবেক শরণার্থী হিসেবে আমি গর্বিত। ’