ঢাকা: ৬১ বছরের ইউরোর ইতিহাসে মনে রাখার মতো কম ঘটনা ঘটেনি। ১৯৬৮ ইউরোর সেমিফাইনালে টস দিয়ে ভাগ্য নির্ধারণ। আর ১৯৯৬ সালে এসে প্রথমবারের মতো ‘গোল্ডেন গোল’ দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। দুটি নিয়মই পরে আর টেকেনি। তবে ইতিহাস তো ইতিহাসই ২০০৪ সালে গ্রিসের ইউরো জয় কিংবা ২০১৬ ইউরোর রোনালদোর কান্নাও ইউরোর ইতিহাসের অন্যতম বড় ঘটনা—ইউরোর চারটি ঘটনাবহুল মুহূর্ত ফিরে দেখা যাক আবার।
ফুটবলে টস মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল ১৯৬৮ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের (এখনকার ইউরো) সেমিফাইনালে। ফুটবল ইতিহাসে এর আগে ও পরে টস এত বড় ভূমিকা রাখেনি। ইতালি-সোভিয়েত ইউনিয়নের সেই ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল নির্ধারণ না হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোল না হওয়ায় টস করে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করতে হয়েছিল। টস ভাগ্যে শেষ হাসি হেসেছিল জিয়াসিন্তো ফাচেত্তির ইতালি। কপাল পোড়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের। টস জিতে ফাইনালে ওঠা ইতালি তো শেষ পর্যন্ত যুগোস্লাভিয়াকে হারিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল। এই নিয়মটা অবশ্য বেশি দিন টেকেনি।
টস করে ফল নির্ধারণের মতো গোল্ডেন গোলের নিয়মও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি ফুটবলে। ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গোল্ডেন গোল দেখা গিয়েছিল ১৯৯৬ ইউরোর ফাইনালে। আর সেই গোলেই ইউরোপ সেরা হয়েছিল জার্মানি। জার্মানি-চেক প্রজাতন্ত্রের ফাইনালে শুরুতে পিছিয়ে পরে জার্মানি। ৬৯ মিনিটে জার্মান কোচ বার্টি ফোকস বদলি হিসেবে অলিভার বিয়েরফকে নামিয়ে দিয়ে ম্যাচের পুরো ছবিই বদলে দিয়েছিলেন। পিছিয়ে পড়া জার্মানিকে ম্যাচে ফেরানোর পর অলিভার বিয়েরহফের পা থেকেই এসেছিল কাঙ্ক্ষিত ‘গোল্ডেন গোল’। ডি-বক্সের ভেতরে তিন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে চেকের জালে বল জড়িয়েই বিয়েরহফের ভোঁ দৌড়। জার্সি খুলে সতীর্থদের নিয়ে ততক্ষণে শিরোপা উৎসব শুরু।
করে দেখিয়েছিল।
২০১৬ ইউরোর ফাইনালের ২৫ মিনিটেই চোটে পরে মাঠ ছাড়েন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মাঠে না খেললেও সেবার পুরো ম্যাচ সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে দলকে পরিচালনা করেছিলেন সিআর সেভেন। গোলশূন্য ম্যাচের খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের ১০৯ মিনিটের সময় বক্সের বাইরে বল পান এডার। জোরালো শটে গোলরক্ষক হুগো লরিসকে পরাস্ত করে বল জালে। ক্যামেরার লেন্স তখন সাইডলাইনে থাকা রোনালদোর দিকে। কাঁদতে কাঁদতে রোনালদো সাইড বেঞ্চ থেকে উঠে দাঁড়ালেন সতীর্থদের গোল উৎসবে যোগ দিতে।