ক্রীড়া ডেস্ক
যেকোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল তো নায়ক হবার মঞ্চই। গত পরশু ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সেই সুযোগ কাজে লাগালেন রদ্রি। সুযোগ কাজে লাগানোর পুরস্কারও পেলেন ম্যানচেস্টার সিটির এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
ইন্টার মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে ম্যান সিটি। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন রদ্রি। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন সিটির এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
মৌসুমসেরা গোলের মর্যাদা পেয়েছে হালান্ডের গোল। ইতিহাদে গ্রুপ পর্বে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ম্যান সিটির জয়সূচক গোলটি করেন হালান্ড। ৫৬ মিনিটে প্রথমে জুড বেলিংহামের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ডর্টমুন্ড। এরপর ৮০ মিনিটে জন স্টোনসের গোলে সমতায় ফেরে ম্যান সিটি। আর ৮৪ মিনিটে দারুণ এক ডিগবাজিতে গোল করেন হালান্ড।
চ্যাম্পিয়নস লিগের মৌসুমসেরা একাদশেও দাপট ম্যান সিটির। সিটির সাত খেলোয়াড় জায়গা করে নিয়েছেন একাদশে। মাঝমাঠের তিন খেলোয়াড়ই সিটির। তারা হলেন ফাইনালের নায়ক রদ্রি, কেভিন ডি ব্রুইন ও জন স্টোনস। রক্ষণ ও আক্রমণভাগে আছেন দুজন করে। হালান্ড আর বার্নার্দো সিলভা এই দুজন খেলবেন ফরোয়ার্ডে। মৌসুমসেরা দলের গোলরক্ষক রিয়াল মাদ্রিদের থিবো কর্তোয়া।
২০২২-২৩ চ্যাম্পিয়নস লিগের মৌসুমসেরা একাদশ:
গোলরক্ষক: থিবো কর্তোয়া (রিয়াল মাদ্রিদ)
রক্ষণভাগ: কাইল ওয়াকার (ম্যানচেস্টার সিটি), রুবেন দিয়াস (ম্যানচেস্টার সিটি), আলেসান্দ্রো বাস্তোনি (ইন্টার মিলান), ফেদেরিকো দিমার্কো (ইন্টার মিলান)
মাঝমাঠ: জন স্টোনস (ম্যানচেস্টার সিটি), কেভিন ডি ব্রুইন (ম্যানচেস্টার সিটি), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি)
আক্রমণভাগ: আর্লিং হালান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি), বার্নার্দো সিলভা (ম্যানচেস্টার সিটি), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ)