চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজি ১-০ গোলে হেরেছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে। ম্যাচটা ছিল সিগনাল ইদুনা পার্কে। সপ্তাহ ঘুরে গত রাতে দ্বিতীয় লেগে পার্ক দে প্রিন্সেসে মুখোমুখি হয় দল দুটি। তবে ঘরের মাঠে গোলের ব্যবধানটুকু পুষিয়ে নিতে পারেনি প্যারিসিয়ানরা। ফাইনালে উঠতে না পারার দায়টা নিচ্ছেন স্বয়ং কিলিয়ান এমবাপ্পে।
দ্বিতীয় লেগে দাপট দেখিয়ে খেলেছে পিএসজি। ৭০ শতাংশ বল দখলে ছিল তাদের। প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর তারা করে ৬ শট। তবে একটাও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পিএসজির ৪ শট ডর্টমুন্ডের গোলপোস্টে লেগে ফেরত আসে। ৭ মিনিটে এমবাপ্পের ডানপায়ের শট ঠেকিয়ে দেন ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল। দ্বিতীয় লেগেও ১ গোল হজম করলে পিএসজি ২-০ গোলে হেরে বিদায় নেয় সেমিফাইনাল থেকেই। ম্যাচ শেষে এমবাপ্পে বলেন, ‘আজ রাতে (গত রাতে) প্রথম যার গোল করা উচিত ছিল, তা আমি। এটাই জীবন। আমাকে ও দলকে এরপর এগিয়ে যেতে হবে।’
বার্সেলোনার বিপক্ষে পিছিয়ে থেকেও পিএসজি কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা টপকেছে এমবাপ্পের সৌজন্যে। এপ্রিলে বার্সার মাঠে এমবাপ্পের ২ গোলই পার্থক্য গড়ে দেয়। তবে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালের দুই লেগেই নিষ্প্রভ দেখিয়েছে ফরাসি ফরোয়ার্ডকে। সেমির দ্বিতীয় লেগের পর এমবাপ্পে গত রাতে বলেন, ‘দলকে সাহায্য করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তবে আমি করতে পারিনি। বক্সে দক্ষ কে হতে পারে এই প্রসঙ্গ যখন আসে, তখন জানি যে আমিই লক্ষ্যবস্তু হব। আমিই সেই ব্যক্তি যার গোল করা উচিত ছিল যা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিত। যখন সবকিছু ভালো থাকে, তখন পাদপ্রদীপের আলো নিয়ে নেব। ভালো না হলে, তখন ছায়া হয়েই থাকতে হবে। সেটা কোনো সমস্যা নয়।’
পিএসজিকে হারিয়ে ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠল ডর্টমুন্ড। সবশেষ ২০১২-২৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলেছিল ডর্টমুন্ড। বায়ার্নের কাছে ২-১ গোলে হেরে রানার্সআপ হতে হয় ডর্টমুন্ডকে।