দুই বছর আগে কাতারের লুসাইলে ৩৬ বছরের অপেক্ষার ইতি টেনে বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টাইনরা। সেই ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামেই আজ থেকে শুরু এএফসি এশিয়ান কাপ। এবারের এশিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই গত বছরের ১৬ জুন থেকে ১৬ জুলাই চীনে হওয়ার কথা থাকলেও কভিড-১৯ মহামারির কারণে সেটি সরে আসে কাতারে। ২০২২ সালের ১৪ মে এএফসি এই সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে তৃতীয়বার এশিয়ান কাপ আয়োজন করবে কাতার, সেটিও ১৩ বছর পর। ১৯৫৪ সালে হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ ভিয়েতনাম ও ইসরায়েল—এই চার দল নিয়ে হয়েছিল এ টুর্নামেন্ট। এরপর থেকে চার বছর পর পর নিয়মিতভাবে হয়ে আসছে এএফসি এশিয়ান কাপ। এবারেরটি ১৮তম সংস্করণ।
ফরম্যাট
৬ গ্রুপের সেরা দুটি করে ১২টি দল সরাসরি যাবে শেষ ষোলোয়। বাকি চারটি স্পটের জন্য প্রতিটি গ্রুপের তিন নম্বরে থাকা দল নিজেদের মধ্যে খেলবে। শেষ ষোলো থেকে শেষ আট। এরপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
ইউরোপীয় লিগের ডাগআউটে এক সময়ের নিয়মিত মুখ ছিলেন—এমন বেশ কিছু কোচকে এবার এশিয়ান কাপে দেখা যাবে। রবার্তো মানচিনি, ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান, পাওলো বেনতো, হেক্টর কুপার থাকবেন সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, আরব আমিরাত ও সিরিয়ার ডাগআউটে।
টুর্নামেন্ট শুরুর পরই বোঝা যাবে, মাঠের পারফরম্যান্সে কারা সেরা। তবে শুরুর আগে সবার নজরে থাকবেন দক্ষিণ কোরিয়ার সন হিয়ুং-মিন, কিম-মিন জায়ি, জাপানের কাওরু মিতোমা, ওয়াতারু এন্দো, সৌদির সালিম আল-দাউসারি, ইরানের মেহদি তারেমি, ভারতের সুনীল ছেত্রি ও কাতারের আকরাম আফিফ।