নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রায় শতকোটি টাকায় চলছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের আধুনিকায়নের কাজ। এই বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও স্টেডিয়ামের ছাউনি নির্মাণের কাজ আটকে আছে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে!
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বেই। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে দিনকে দিন। দাম বেড়েছে রডেরও। আর রডের দাম বাড়ায় অর্ধেক আগানোর পর আটকে গেছে ছাউনি নির্মাণের। বাড়ছে সংস্কার ব্যয়। ডিসেম্বরে হওয়ার কথা থাকলেও সংস্কারকাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
আজ দুপুরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন জাহিদ আহসান রাসেল। সংস্কারকাজের ধীরগতির প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘রডের দাম এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এর কারণে কাজের গতিটা হয়তো একটু কমে গেছে। আশা করি এই মাসের মধ্যে দামটা হয়তো ঠিক হবে। তাহলে হয়তো কাজের গতিটা তখন আবারও বাড়বে। অ্যাথলেটিকস টার্ফ এরই মধ্যে দেশে চলে এসেছে কিন্তু আমরা সেটা বসাতে পারছি না ছাউনি নির্মাণ না হওয়ায়। মাঠের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। চেয়ারসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের ওয়ার্ক অর্ডারও হয়ে গেছে। ফ্লাডলাইটটা বসানো যাচ্ছে না, কারণ ছাউনি নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত আলো আসবে কি না, সেটা পরীক্ষার ব্যাপার আছে। তাই দরপত্রের প্রক্রিয়াটা আমরা একটু ধীরগতিতে করছি।’
জাতীয় স্টেডিয়ামের দোতলা পর্যন্ত গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইলেকট্রনিকস দোকান। পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে আসা যানবাহনের কারণে স্টেডিয়াম চত্বরে তৈরি হয় যানজট। ভবিষ্যতে স্টেডিয়াম ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের মানহীন অ্যাস্ট্রো টার্ফে স্বাধীনতা ও ফেডারেশন কাপের আয়োজন করে সমালোচনার মুখে পড়েছিল বাফুফে। পুরোনো টার্ফ সরিয়ে নতুন করে টার্ফ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। বলেছেন, ‘কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফের টেম্পারামেন্ট শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখানে নতুন করে টার্ফ বসানোর পরিকল্পনা করেছি। কারণ, এখানে খেলতে গেলেই খেলোয়াড়েরা চোটে পড়ছে।’