নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আশির দশকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার চালু করা হয়। ১৯৯১ সালের পর থেকে সেই পুরস্কার প্রদান স্থগিত হয়ে যায়।
গত বছর পুরস্কারটি আবার চালু হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের নামে। আগামীকাল শুক্রবার তাঁর ৭৪তম জন্মদিনে পুরস্কার দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বছর সাত ক্যাটাগরিতে ৯ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুটি সংস্থা পুরস্কার পাচ্ছেন। আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল পুরস্কারের তালিকা ঘোষণা করেছেন।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারের সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের পার্থক্য নিরুপণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে বর্তমান খেলোয়াড়দের বিবেচনা করা হয়। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে সাবেক খেলোয়াড়দের বিবেচনা করা হয়।’
গত বছর শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তিনি ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিলেন। এবার আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন হারুনুর রশিদ। তিনি একই বছর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন।
এ বছর ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাচ্ছেন ক্রিকেটার লিটন দাস, ভারোত্তোলক মোল্লা সাবিরা ও শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকী। ক্রীড়াবিদদের মনোনীত করার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়েছে।
খেলোয়াড়, সংগঠক, পৃষ্ঠপোষক, সাংবাদিক ক্যাটাগরি থাকলেও রেফারি-আম্পায়ার-কোচদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী রাসেলের আশ্বাস, ‘ভবিষ্যতে আমরা তাদের বিষয় বিবেচনা করব।’
পুরস্কার পাচ্ছেন যাঁরা
আজীবন সম্মাননা ► হারুনুর রশিদ
সংগঠক ► সাইদুর রহমান প্যাটেল ও নাজমা শামীম
ক্রীড়াবিদ ► লিটন দাস, আবদুল্লাহ হেল বাকী ও মোল্লা সাবিরা
উদীয়মান ► দিয়া সিদ্দিকী ও শরীফুল ইসলাম
পৃষ্ঠপোষক ► গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
সাংবাদিক ► কাশীনাথ বসাক
সংস্থা ► বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন