হোম > খেলা > অন্য খেলা

মেরিনার্সের আশা, সবুজের হতাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সোহানুর রহমান সবুজকে দিয়ে গোল করানোর যথেষ্ট চেষ্টা করে গেল মেরিনার্স। কিন্তু বোঝা গেল যথেষ্ট চাপে আছেন সবুজ। পাঁচটি পেনাল্টি কর্নার পেয়ে একটিও কাজে লাগাতে পারলেন না। অবশেষে একটি গোল পেলেন যদিও কিন্তু তাতে হতাশা বেড়ে গেল আরও। ২৮ বছরের পুরোনো রেকর্ড থেকে মাত্র এক গোল দূরত্বে থেকে ফিরতে হলো সবুজকে। 

টানা দ্বিতীয় লিগ শিরোপা জিততে হলে আজ বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে জিততেই হতো মেরিনার্সকে। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ৪-২ গোলে জিতে মেরিনার্স শিরোপার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে। ৩৭ পয়েন্টে আপাতত শীর্ষে গতবারের লিগ সেরা দলটি। তবে শিরোপা জিততে হলে আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে মামুন উর রশীদের দল। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের ফল ড্র হলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন মেরিনার্স। আবাহনী জিতলে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট হবে তাদের। বাইলজ অনুযায়ী তখন প্লে-অফ খেলার কথা দুই দলের। 

মেরিনার্সের আশা বেঁচে থাকলেও সবুজ লিগ শেষ করেছেন অপ্রাপ্তি নিয়ে। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে লিগে ৪০ গোল করে ২৮ বছর ধরে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটা নিজের করে রেখেছিলেন ঊষার সাবেক ফরোয়ার্ড রফিকুল ইসলাম কামাল। যদিও কামাল এই রেকর্ড গড়েছিলেন ২২ ম্যাচ খেলে। ১৫ ম্যাচ খেলা সবুজ এবার যে গতিতে এগোচ্ছিলেন তাতে এবার রেকর্ডটা ভেঙে যেতে পারে, এমন ধারণা নিয়ে সবুজকে আগাম অভিনন্দনও জানিয়ে রেখেছিলেন কামাল। পুলিশের বিপক্ষে সবুজ শুরু করেছিলেন ৩৮ গোল নিয়ে। দুই গোল হলে ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন কামালকে, তিন গোল হলে ভেঙে ফেলতেন রেকর্ড। কিন্তু চাপ যেন চেপে বসেছিল সবুজের কাঁধে। পুরো লিগে মুড়িমুড়কির মতো পেনাল্টি কর্নারে ২২ গোল করা সবুজ আজ পাঁচ পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল পেলেন না একটিও! যে একটি গোল পেলেন সেটিও পেনাল্টি স্ট্রোকের বদ্যানতায়। 

আবাহনী মোহামেডানকে হারিয়ে দিলে বাইলজ অনুযায়ী প্লে-অফ খেলার কথা মেরিনার্স-আবাহনীর। সে ক্ষেত্রে কাগজে-কলমে রেকর্ড গড়ার সুযোগ থাকলেও আগামী পরশু বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হয়ে খেলতে ভারত যাবেন সবুজ। সে ক্ষেত্রে প্লে-অফে সবুজের খেলার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। রেকর্ড হচ্ছে না; এমনটা ধরে নিয়ে যা হচ্ছে তাতেই খুশি সবুজ। ম্যাচ শেষে বললেন, ‘আমি চাপ নেওয়ার চেষ্টা করিনি। যা হয়ে গেছে, সেটা ভুলে থাকার চেষ্টা করব। পরবর্তী লিগে যে দলের হয়েই খেলি, চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দিতে। আমার নিজের রেকর্ডের চেয়ে মেরিনার্সের ফলটা ছিল বেশি জরুরি। এখন আমরা আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের দিকে তাকিয়ে, দেখি কী হয়!’ 

চাপ নেননি বললেও মেরিনার্স কোচ মামুন উর রশীদ বললেন সবুজ আসলে চাপে ভুগেছেন। বললেন, ‘সবুজ ইতিবাচক থাকলে রেকর্ডটা করতে পারত। তবে শিরোপা যারই হোক আমরা যেখান থেকে উঠে এসেছি চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও আমাদের দুঃখ থাকবে না। প্লে-অফ না হলেও আমরা খুশি। যে চ্যাম্পিয়ন হবে তাঁকে আমাদের অভিনন্দন।’

‘সাইবার ফোর্স সনাতনী’র দখলে ক্রীড়া পরিষদের ওয়েবসাইট

প্রয়াত গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার ছেলের পাশে বিসিবি

স্থগিত হতে পারে ১৫ ফেডারেশনের আর্থিক বরাদ্দ

শেষ আটে মেয়েদের প্রতিপক্ষ ভারত ছেলেদের নেপাল

‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রেই থেকে যাব’

‘সবাই শুধু আশা দেখায়’

নতুন বছরে লক্ষ্য গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া

হকি ফিরতেই হট্টগোল

নীড়ের কাছে ধরাশায়ী ৪ গ্র্যান্ডমাস্টার

১৬ বছর ‘দুপুরে খাননি’ জিমি

সেকশন